স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর সদরঘাটে গতকাল শুক্রবার এমভি জাহিদ-৪ নামে একটি লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে তিনজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নৌযানটির গতকালের যাত্রা বাতিল করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
গতকাল দুপুরে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক জয়নাল আবেদিন বলেন, সকালে সদরঘাটের ১২ নম্বর পন্টুনে ভিড়ে থাকা এমভি জাহিদ-৪ কে ধাক্কা দেয় এমভি সাব্বির ও কর্ণফুলী-১৪। এসময় এমভি জাহিদ-৪ এর দড়ি ছিঁড়ে পড়ে তিন জন আহত হন।
বিআইডব্লিউটিএ’র এ কর্মকর্তা বলেন, ঘাটে বার্খিং (ঘাটে ভেড়ানো বা নোঙর করা) করার পর অন্য লঞ্চ ঘাটে ভেড়ার সময় ধাক্কা লাগবে। তাই বলে পন্টুনের মঠ (যাত্রী ওঠানামা করার পথ) থেকে দড়ি ছিঁড়ে যাবে, এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনা যেন ভবিষ্যতে না ঘটে সেজন্য এমভি জাহিদ-৪ এর যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে লঞ্চটির ম্যানেজার মো. লাবলু বলেন, দুর্ঘটনায় এমভি জাহিদ-৪ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলো। কিন্তু অন্য দু’টি লঞ্চের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলো না, সেটা অন্যায়। আর বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থার (লঞ্চ মালিক সমিতি) প্রধান উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন, যদি ঘাটে ভিড়ে থাকা কোনো নৌযানের দড়ি ছিঁড়ে যায়, তার বিরুদ্ধে আগে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে অন্যদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সেটা কিন্তু নয়। এ ঘটনায় যদি এমভি সাব্বির ও কর্ণফুলী জড়িত থাকে, তবে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।