পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৯ সালের ৯ মে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর এম এ ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীর সব আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত করা হয়েছে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার জন্মস্থান রংপুরে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী এই বিজ্ঞানী জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মরহুম আবদুল কাদের মিয়া ও মা মরহুমা ময়জান নেছার সন্তান ওয়াজেদ মিয়া ‹সুধা মিয়া› নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। ওয়াজেদ মিয়া ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে তৃতীয় এবং ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান লাভ করেন।
১৯৬৭ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনে যোগ দিয়ে চাকরি জীবন শুরু করেন। পরে আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানেরও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগে যুক্ত ওয়াজেদ মিয়া ১৯৬১ সালে ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ২০০৯ সালের ৯ মে মারা যান ওয়াজেদ মিয়া। মৃত্যুর পর তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।