Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

স্বস্তির বার্তা নতুন চালে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

দেশের বাজারে চালের চড়া দাম সাধারণ মানুষকে ভোগাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই। দাম কমাতে সরকারের নেয়া উদ্যোগগুলোর কার্যত কোনো সুফল মেলেনি। তাই শেষমেশ ইরি-বোরোকে ভরসা করেছিল সবাই। তবে পুরো ধান কাটা না হলেও ইতোমধ্যেই বাজারে কিছুটা স্বস্তির ইঙ্গিত মিলছে। দীর্ঘদিন ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া চালের দাম কমতে শুরু করেছে। নতুন চাল বাজারে আসতে শুরু করায় মোটা ও মাঝারি মানের নতুন চালের দাম কেজিপ্রতি দুই থেকে পাঁচ টাকা কমছে। তবে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পুরাতন নাজির ও মিনিকেটসহ ভালো মানের চাল।
রাজধানীর চালের বাজারগুলোতে দেখা যায়, পুরাতন ভালো মানের মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬৪-৬৫ টাকায়। তবে নতুন মিনিকেট ও নাজির বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০ টাকায়। অর্থাৎ, পুরাতন চালের দামের তুলনায় নতুন চাল কেজি প্রতি পাঁচ টাকা কম। মধ্যমানের মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজিতে আর হাসকি নাজির বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা কেজি দরে।
দীর্ঘদিন ধরে ৫৪-৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া লতা বা ২৮ নম্বর চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা কেজিতে। কেজিপ্রতি ২ টাকা কমে ৫০ টাকার মোটা স্বর্ণা চাল ৪৭ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫২ থেকে ৫৪ টাকা বিক্রি হওয়া পাইজম চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৯-৫০ টাকা কেজি দরে। অর্থাৎ, এই জাতের চালও কেজিপ্রতি দুই টাকা কমেছে।
এছাড়াও বাজারগুলোতে ভালোমানের কাটারিভোগ চাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকা, মধ্যমানের কাটারিভোগের চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি। সিদ্ধ কাটারি চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজিতে। টেপু শাইল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজিতে। চিনি গুড়া পোলাও চাল ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর চিনিগুড়া ক্ষুদ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। বাসমতি চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা কেজিতে।
এদিকে বাজারে চাল কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন, কৃষকরা ধানের দাম পাচ্ছে না। আর আমরা কম দামে চাল কিনতে পারছি না। কষ্ট করছে কৃষক আর কারসাজি করে লোপাট করে নিচ্ছে আড়ৎদার, মিলার আর ব্যবসায়ীরা। আমরা ৩০ টাকার চাল ৬০ টাকা দিয়ে কিনে খাচ্ছি। আমাদের দেখার কেউ নেই।
ব্যবসায়ীরা বলেন, পুরাতন মিনিকেট এক বস্তা চাল আমরা বিক্রি করি ৩ হাজার থেকে ৩১শ টাকা। আর খুচরা বাজারে বিক্রি করে ৩ হাজার ২০০ টাকা। নতুন মিনিকেট চাল পাইকারি বিক্রি করি ২৮শ’ টাকা বস্তা। তারা আরো বলেন, মিলগুলো নতুন ধান থেকে চাল তৈরি শুরু করেছে। কয়েকদিন ধরে সেই চাল বাজারে আসছে। ফলে নতুন চালের দাম কমেছে। তবে পুরাতন চালের দাম কমেনি। তবে কিছু ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভরা মৌসুম, এখনও চাল কিনতে হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। এটা কোনো দেশ হলো? যখন ইচ্ছা ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়ায়। সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
রাইস মিলস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, দেশের চাহিদার তুলনায় চাল কম ছিল বলেই দাম বেড়েছে। এখনও পুরাতন চাল সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে, আমাদের করার কিছু নেই। নতুন চাল আসতে শুরু করেছে। এমনিতেই চালের দাম কমে যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নতুন চাল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ