পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তি মিললেও করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন। গত কয়েকদিনেও তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিন্তিত তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। এজন্য উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ারও সুপারিশ করেছেন তারা। চিকিৎসকদের সুপারিশ ও পরিবারের আগ্রহেই কারণে তাকে বিদেশে নিতে ইতোমধ্যে সরকারের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার। অনুমতির বিষয়টি এখনো বিবেচনাধীন রয়েছে আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।
খালেদা জিয়ার ছোট বোন সেলিমা ইসলাম জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশে নিতে সব ধরণের প্রস্তুতি তাদের আছে, তারা সরকারের গ্রিন সিগনালের অপেক্ষায় রয়েছেন। তবে অনুমতি মিললেও খুব দ্রত বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়া সম্ভব হবে কিনা সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে চিকিৎসক ও দলের নেতাদের মধ্যে। এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকদের সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়াটা ভালো লক্ষণ নয়। ছয় বা আট ঘণ্টার ফ্লাইটে বিদেশে নেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা তার নেই। অক্সিজেন ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি বা অবনতি হয়নি। কিন্তু, এই স্থিতিশীলতা ভালো লক্ষণ নয়।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের বর্তমান শারীরিক অবস্থায় দীর্ঘ উড়োজাহাজ ভ্রমণের ধকল সামলাতে পারবেন কি না, সংশয় প্রকাশ করেছেন তার চিকিৎসকরা। এছাড়া তার বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি তার পাসপোর্ট নবায়ন, যে দেশে যাবেন সে দেশের ভিসা ও বাংলাদেশ সরকারের অনুমতির ওপর নির্ভর করছে।
যদিও বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, লন্ডনের একটি হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের ‘ইতিবাচক সাড়া’ পেয়েছে তার পরিবার। বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ছাড়পত্র পাওয়া মাত্রই খালেদা জিয়ার পরিবার তাকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করবে। তবে, কোন হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে ভর্তি করানো হবে বা তাকে সেখানে নিয়ে যেতে বিশেষ ফ্লাইট বা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন হবে কি না সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই প্রক্রিয়াটির সমন্বয় করছেন। বিএনপির নেতারা বলেছেন, সরকারের ছাড়পত্র পাওয়াটাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। কেননা, খালেদা জিয়া দেশ ছাড়তে পারবেন না এই শর্তেই সরকার তাকে নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদনে খুব শিগগিরই সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। সিদ্ধান্ত রোববারের আগেই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
গতকাল শুক্রবার রাতে বেগম জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরে তাঁর জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত আছে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা শুক্রবার দুপুরে খালেদা জিয়াকে পরীক্ষা করেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা দেখেছেন বৃহস্পতিবার তার যে অবস্থা ছিল শুক্রবারও তেমন আছে। সেই অনুযায়ী চিকিৎসা চলছে। সরকারের অনুমতি পেলে তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হবে। খালেদা জিয়া এই মুহূর্তে বিমানে চড়ে বিদেশে যাওয়ার মতো শারীরিক অবস্থায় আছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনুমতি পাওয়ার পর এ নিয়ে ভাবা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।