পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবশেষে চারদিন পর সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গত বুধবার যেসব স্থানে ধোঁয়া দেখা গিয়েছিল গতকাল তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি করেছেন সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন। বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. গোলাম সরোয়ার জানান, বনের সেসব স্থানে ধোঁয়া উড়ছিল, এখন আর সেটি নেই। বেলা ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের পরিসমাপ্তি টানা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা বন বিভাগকে বলেছি আগুন লাগার স্থানে কিছু জায়গা খনন করে সেখানে পলিথিন বিছিয়ে পানি সংরক্ষণে রাখতে। সেটির কাজ এখন চলছে।
তিনি জানান, আমাদের পর্যবেক্ষণে এই বনের প্রায় ১৫ একর জমির গাছপালাসহ লতাগুল্ম পুড়ে গেছে। আমরা ফায়ার লাইনের মধ্যে পুরো এলাকা পানি দিয়ে ভাসিয়ে দিয়েছি। তারপরও আগুন আবারো ধোয়ার কুÐলী পাকিয়ে জ¦লে উঠলে তা দ্রæত নেভাতে মাটি খুড়ে ১ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি জলাধার নির্মাণ করে সেখানে পানি ভর্তি করে রাখা হয়েছে। বন বিভাগকে আজ শুক্রবার দিনভর অগ্নিকান্ডের স্থানকে পর্যবেক্ষণে রাখতে বলা হয়েছে। এই কর্মকর্তা আরো জানান, দূর্গম বনের ভেতর হওয়াসহ পানির উৎস কয়েক কিলোমিটার বন ও ঝোঁপঝাড় পেরিয়ে পানির পাইপ টেনেও প্রয়োজনীয় পানি পাওয়া যায়নি।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা ও তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জয়নাল আবেদীন জানান, চতুর্থ দিন বিকালে এসে শরণখোলা রেঞ্জ দাসের ভারনী এলাকার আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। তদন্তের পরই এই আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানানো সম্ভব হবে।
গত ৩ মে দুপুর ১২টার দিকে শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানি এলাকায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ ও স্থানীয়দের প্রায় ৩০ ঘণ্টার চেষ্টায় ৪ মে বিকেল ৫টায় আগুন নিভে যায়। পরবর্তীতে ৫ মে সকালে আবারও আগুন জলে ওঠে।
এদিকে সুন্দরবন বিভাগের তথ্যমতে, সুন্দরবনে ২০ বছরে ২৬ বার আগুন লেগে পুড়ে যায় প্রায় ৮৫ একর বনভূমি। ২০১৭ সালের ২৬ মে পূর্ব সুন্দরবনে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলী ফরেস্ট ক্যাম্পের আওতাধীন আব্দুুল্লাহর ছিলায় বড় ধরণের অগ্নিকাÐের ঘটনা ঘটে। ওই আগুনে প্রায় পাঁচ একর বনভূমির ছোট গাছপালা, লতাগুল্ম পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।