Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সোনাইমুড়িতে গাঁজা সেবনে বাধা দেয়ায় খুন

নোয়াখালী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০২১, ১২:০৪ এএম

সোনাইমুড়ীতে গাঁজা সেবনে বাধা দেয়ায় এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে মাদকসেবীরা। নিহত মো. মাহফুজুর রহমান উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাতঘরিয়া গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে। গত বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, এলাকার চিহিৃত মাদকসেবী ইশতিয়াক। তার রয়েছে হরেক রকম মাদকের নেশা। সে প্রায় তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে নিজ বাড়ির বাগানে অথবা বাড়ি সংলগ্ন সড়কে মাদকের আসর বসায়। এ নিয়ে একাধিকবার তার সাথে নিজ বাড়ির মাহফুজের কথা কাটাকাটি হয়। বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় মাহফুজ বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ি ফেরার পথে সে আবার দেখতে পায় তাদের বাড়ির আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. ইশতিয়াক, সাতঘরিয়া গ্রামের আল আমিন, নাওড়ি গ্রামের আরমান, মানিক্য নগর গ্রামের নাঈম, তাদের বাড়ির সামনে গাঁজা সেবন করছে। এ সময় মাহফুজ তাদেরকে বাড়ির সামনে গাঁজা সেবনে বাধা দেয়।
এ নিয়ে তার সাথে গাঁজা সেবনকারী ইশতিয়াক ও তার সহযোগীদের বাকবিতন্ডা হয়। এতে ইশতিয়াক ক্ষিপ্ত হয়ে মাহফুজের মুখের দিকে গাঁজা সেবন করে ধোঁয়া ছুড়ে দেয়। মাহফুজ কঠিন ভাষায় প্রতিবাদ করলে ইশতিয়াক মাহফুজের, বুকে, তলপেটে, হাতে, পায়ে ছুরিকাঘাত করে। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই মাহফুজ মারা যায়। পরে মাহফুজের বাড়ির লোকজন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রাত ১০টায় চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১২টার দিকে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সোনাইমুড়ী থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গাঁজা সেবন

২২ জানুয়ারি, ২০২২
আমার এক নিকটাত্মীয় মদ-গাঁজা সেবন করত। স্বামী-স্ত্রী প্রায় সময়মই ঝগড়া হতো, স্বামী তার স্ত্রীর গায়ে অনেক সময় হাত তুলত। স্ত্রীও খুব বেশী একটা ছাড় দিত না। আবার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অন্য পুরুষের সাথে দীর্ঘ দিন রাতে-বিরাতে গোপন ফোনালাপের অভিযোগ ছিল। তাদের দুই ছেলে আছে। স্বামী তার স্ত্রীর নামে ব্যাংক একাউন্টে ১৫-১৮ লাখ টাকার সম্পদ রেখেছিল। স্ত্রী বাপের বাড়ি গিয়ে সেগুলো হাত করে নেয় এবং নেশাখোর স্বামীর সংসার করবেনা বলে জানায়। এ অবস্থায় কয়েকটি ব্যর্থ আলোচনা বা বৈঠক হয়। প্রায় এক বছরের বেশী সময় পর স্ত্রী ওই স্বামীকে এক উকিলের মাধ্যমে ডাকযোগে ডিভোর্সলেটার পাঠায়। স্বামী বলে সে ওই লেটার রিসিভ ও সাইন করেনি। এর প্রায় এক বছর পর তার স্ত্রী ওই গোপন ফোনালাপের অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই বিয়ে করে। প্রশ্ন হলো স্ত্রীর এ তালাক ও পরবর্তী বিয়ে ইসলামের বিধান মতে সঠিক ভাবে হয়েছে কি না? আর না হলে এখন করনীয় কি?
২২ জানুয়ারি, ২০১৬

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ