পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : এবছর মঠবাড়িয়া উপজেলায় কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে নৈরাজ্য সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। আড়ৎদারেরা সিন্ডিকেট করে গরুর চামড়া কম দামে ক্রয় করায় মৌসুমি ব্যবসায়িরা চরম লোকশানের সম্মুখীন হয়েছে।। ছাগলের চামড়ার ক্রেতা না পেয়ে অনেকে চামড়া ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছে।
উপজেলার প্রায় সর্বত্র ঈদের দিন চামড়া নিয়ে নৈরাজ্য চলে। ট্যানরি মালিকদের চামড়া ক্রয়ে অনিহা এবং লবণের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে মেীসুমী চামড়া ব্যবসায় ধ্বস নামার অন্যতম কারণ বলে ব্যবসায়িরা জানিয়েছেন। ঈদের দিন উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের মৌসুমী চামড়া ব্যাবসায়ি মো. বাচ্চু তালুকদার জানান, ২৮ শত টাকায় চামড়া কিনে ১ হাজার টাকা লোকশান দিয়ে ১৮ শত টাকায় বিক্রি করেছে। মাঠ থেকে চামড়া ক্রয় করে বাচ্চু তালুকদারের মত অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ি লোকশান দিয়েছে।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের মিরুখালী রোডের চামড়ার আড়ৎদার বিমল দাশ জানান, ট্যানারি মালিকদের চামড়া ক্রয়ে অনিহার কারণে তারা চামড়া অনেক কম কিনেছে। তারপরও দাম পাবে কিনা তা নিয়ে তারা সন্দিহান। পৌর শহরের মুচি পাড়ার আড়ৎদার নান্টু দাশ জানান, গত বছরের চামড়ার শতকরা ৬০ ভাগ দাম তারা আজও পায়নি। এ বছর লবণের দাম বেশী এবং কম মূল্য নির্ধারণ করায় ব্যবসায়িরা চামড়া কিনতে চায়না। এদিকে ছাগলের চামড়ার ক্রেতা না থাকায় অনেক স্থানে কুকুরের খাদ্যে পরিনত হওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।