পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেছেন, দেশের অর্থনীতি গতিশীল রাখতে করোনা মহামারীতেও চট্টগ্রাম বন্দর সার্বক্ষণিক সচল রয়েছে। গতকাল বুধবার বিজিএমইএ নেতাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। তৈরি পোশাক শিল্পের মন্দাবস্থা উত্তরণে পণ্য চালান দ্রুত খালাস ও রফতানি সহজতর করতে চট্টগ্রাম বন্দরের সহযোগিতা কামনা করেন বিজিএমই নেতারা। বিজিএমইএর নব-নির্বাচিত প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতারা বন্দর চেয়ারম্যান ও কাস্টম হাউস কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ সহযোগিতা চান।
এ সময় বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রফতানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমদানি-রফতানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সুচারুভাবে সম্পাদন করছে। তিনি আসন্ন ঈদুল-ফিতরের ছুটি পরবর্তীতে বন্দর থেকে পণ্য চালান দ্রুত ডেলিভারি নেয়া, আমদানি খরচ কমানোর লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, বে-টার্মিনালসহ বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এ লক্ষ্যে বিজিএমইএসহ সব স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতা কামনা করেন বন্দর চেয়ারম্যান। কাস্টম হাউসের কমিশনার ফখরুল আলম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সমাজকে সহযোগিতা তথা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার লক্ষ্যে কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম সার্বক্ষণিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পোশাক শিল্পের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম সহজীকরণসহ দ্রুততার সঙ্গে সম্পাদনে পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।
বিজিএমইএ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। জাতীয় অর্থনীতিতে এর ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ইতিমধ্যে দৃশ্যমান। পরিস্থিতি উত্তরণে সরকারসহ সবার সহযোগিতায় পোশাক শিল্পখাত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা আহরণসহ অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পোশাক শিল্পের কোনো বিকল্প নেই। করোনাকালীন দুঃসময়ের মধ্যেও সার্বক্ষণিকভাবে কাস্টমস ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতার জন্য তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, সদস্য (হারবার ও মেরিন), কমোডর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, সচিব মো. ওমর ফারুক, বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি এরশাদ উল্ল্যাহ, নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, সাবেক পরিচালক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী ও অঞ্জন শেখর দাশ, বিজিএমইএর সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।