পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খান, কিশোরগঞ্জ থেকে : শোলাকিয়ায় এবার অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৮৯তম ঈদুল আযহার জামাত। সকাল ৯টায় জামাত শুরু হয়। জামাতে ইমামতি করেনে মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
ঈদুল আযহায় কোরবানির বাধ্য বাধকতা থাকায় সাধারণত দূরের মুসল্লিরা নিজ নিজ এলাকায় ঈদের জামাত আদায় করে থাকেন। সে কারণে শোলাকিয়ায় ঈদুল ফিতরের তুলনায় ঈদুল আযহায় মুসল্লির সংখ্যা কম হয়ে থাকে। এবার রাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে মুসল্লীর সংখ্যা নেমে আসে কয়েকশতে। শোলাকিয়া ঈদগাহের আড়াইশ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ছোট জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তবে মুসল্লী কম হলেও তিন স্থরের নিরাপত্তা এবং দেহ তল্লাশীর পর প্রত্যেক মুসল্লীকে মাঠে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
মসনদ-ই-আলা ঈশাখাঁর ৬ষ্ঠ বংশধর দেওয়ান মান্নান দাদ খান ১৯৫০ সনে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ৭ একর জমির উপর এ ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথম অনুষ্ঠিত জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন বলে মাঠের নাম হয় “সোয়া লাখি মাঠ”। সেখান থেকে উচ্চারণের বিবর্তনে নাম ধারণ করেছে আজকের শোলাকিয়া মাঠে।
জামাত নির্বিঘœ করতে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি মোতায়ন ছিল বিজিবি। গত ঈদুল ফিতরে শোলাকিয়া মাঠের পাশে জঙ্গি হামলার কারনে তিনস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। নিরাপত্তার জন্য ছিল সি সি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ার।
এ মাঠে নামাজ আদায় করলে প্রচুর সওয়াব পাওয়া যায়, দোয়া কবুল হয়, নেক মাকসুদ পূর্ণ হয়-এ বিশ্বাস থেকেই এর প্রতি মানুষের আকর্ষণ দিন দিন বাড়ছে। এবছর বৃষ্টি থাকায় মুসল্লীর সংখ্যা কম হয়।
জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: আজিমুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মুসল্লীরা মসজিদে নামায আদায় করেছেন সে কারণে মুসল্লীর সংখ্যা কম হয়েছে। তারপর ও আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্ছ গুরুত্ব দিয়েছি। এ মাঠে নামাজ আদায় করেন জেলা প্রশাসক মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান, পৌর মেয়র মো.পারভেজ মিয়া, শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ৭ জুলাই ঈদের দিন সকালে শোলাকিয়া ঈদগাহের পাশে পুলিশের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গিরা চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জহিরুল ইসলাম ও আনসারুল হক নামে দুই পুলিশকে হত্যা করে। পরে তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এঘটনায় ঘরের ভিতরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন গৃহবধূ ঝর্ণা রানী ভৌমিক। একই সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় আবির রহমান নামে এক জঙ্গি। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার হয় শফিউল ইসলাম নামে অপর এক জঙ্গি। পরবর্তীতে সে ময়মনসিংহের নান্দাইলে র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। এঘটনায় শফিউলের আশ্রয় দাতা আনোয়ার হোসেন ও স্থানীয় সহযোগী জাহিদুল হক তানিম কিশোরগঞ্জ জেলহাজতে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।