Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাজারে আসছে ১৪ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

ঈদ সালামিতে নতুন টাকার জুড়ি নেই। ছোট-বড় সবারই নতুন টাকা পেতে ভালো লাগে। পাশাপাশি বকশিশ, ফিতরা কিংবা দান-খয়রাতেও অনেকে নতুন টাকা দিয়ে থাকেন। অন্যদিকে, ঈদের আগের মাসের বেতন ও বোনাসের টাকা নতুন নোটে পাওয়ার আশা করেন চাকরিজীবীরা।

ঈদের কেনাকাটাতেও বাজারে নগদ টাকার চাহিদা বাড়ে। এ চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়েই নতুন টাকা সংগ্রহ করে থাকেন গ্রাহক। আর গ্রাহকের কথা বিবেচনায় নিয়ে প্রতিবছর দুই ঈদে নতুন টাকা বাজারে ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় সর্বসাধারণের মাঝে নতুন টাকা বিনিময় বন্ধ রেখেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন টাকা বাজারে ছেড়েছে বেশ কিছুদিন আগেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, তিন মাসে বাজারে মোট ১৪ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়ার টার্গেট রয়েছে।ইতোমধ্যে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে চলে এসেছে। আর পুরোনো টাকা ছাড়া হবে ব্যাংকগুলোর চাহিদার আলোকে। এসব নতুন নোট সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হওয়ার আগে থেকেই বাজারে ছাড়া শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকের গ্রাহকেরা লেনদেনের সময় নতুন টাকা নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া ব্যাংকগুলো এটিএম বুথের মাধ্যমেও দিচ্ছে নতুন টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অপর একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন, এবার ঈদের আগেই চাহিদা অনুযায়ী বাজারে নতুন টাকা ছাড়া হলেও বিশেষ ব্যবস্থায় নতুন টাকা জনসাধারণের মাঝে বিতরণ করা হবে না— করোনাভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবিলায় এমন সিদ্ধান্তে যাওয়া হচ্ছে না। নতুন টাকার সবটাই ব্যাংকের মাধ্যমেই বিতরণ করা হবে।
অন্যদিকে বছরের প্রায় সব সময়ই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সামনে নতুন টাকার অস্থায়ী বাজার বসে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কিছু মানুষ নতুন টাকা নিয়ে বসে থাকেন। তবে অন্যবারের তুলনায় তাদের বাজার এবার মন্দা যাচ্ছে। ক্রেতা নেই বললেই চলে, এমনটাই বলছেন নতুন টাকার ব্যবসায়ী ছমিরা বেগম। তাদের কাছে ২০০ টাকার এক হাজার নোট কিনতে হলে ৬০ টাকা বেশি দেয়া লাগে, ৫, ১০, ২০ এবং ৫০ টাকার নোট প্রতি এক হাজার কিনলে ৫০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয় এখান থেকে।
হালিমা খাতুন প্রায় পাঁচ বছর ধরে ফেরি করে নতুন টাকা বিক্রি করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে। তিনি বলেন, বছরের সব সময়ই আমরা বসি, কম-বেশি বিক্রি হয়। কিন্তু এবারের ঈদে কোনো বিক্রি নেই। আমাদের সংসার চলে টাকা বিক্রি করে, কিন্তু এবার ক্রেতা নেই, বিক্রিও নেই। এখন সংসার চালানোই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক কিংবা অন্য যে কোনো ব্যাংক থেকে নতুন টাকা নিতে বাড়তি কোনো খরচ দিতে হয় না। নির্দিষ্ট টাকার বিপরীতে সেই একই অঙ্কের নতুন টাকা পাওয়া যায় ব্যাংকগুলো থেকে। গত বছরের রোজা ও কোরবানির ঈদে নতুন টাকা না এলেও এবারের ঈদে নতুন টাকা আসছে। ইতোমধ্যে নতুন টাকা ছাড়া হয়েছে। তাছাড়া ব্যাংকগুলোতে সারাবছর ৪০ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ বিভিন্ন মূল্যমানের নোট প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ প্রয়োজন হয় বছরের দুই ঈদে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিন মাসে ১৪ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়ার টার্গেট নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ইতোমধ্যে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে এসেছে।
তবে পুরোনো নোট কেমন ছাড়বে কেন্দ্রীয় ব্যাংক— এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, পুরোনো টাকার হিসাব সেভাবে হচ্ছে না। তবে ব্যাংকগুলোর ডিমান্ড (চাহিদা) অনুযায়ী টাকা সরবরাহ করা হবে, সব প্রস্তুতি রয়েছে।



 

Show all comments
  • MD Tuhin Ahmed ৪ মে, ২০২১, ১২:৫২ এএম says : 0
    মুদ্রাস্ফীতি হুর হুর করে বাড়া শুরু..
    Total Reply(0) Reply
  • Zahid Juel ৪ মে, ২০২১, ১২:৫২ এএম says : 0
    ঘরে থেকে নতুন টাকা দিয়ে কি করব
    Total Reply(0) Reply
  • MD Jashim Uddin ৪ মে, ২০২১, ১২:৫৩ এএম says : 0
    বাড়িতে যেতে না পারলে নতুন টাকা দিয়ে কি হবে..??
    Total Reply(0) Reply
  • আবু বক্কার ছিদ্দিক ৪ মে, ২০২১, ১২:৫৩ এএম says : 0
    ঈদ নাই, আনন্দ নাই নতুন নোট দিয়ে কি হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • তানিম আশরাফ ৪ মে, ২০২১, ১২:৫৭ এএম says : 0
    এবার মানুষের পকেটে টাকাইতো নাই, তো নতুন নোট দিয়ে ঈদ সেলামি দিবে কিভাবে!!!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ