পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জবাই করা কোরবানির গরুর ওপর উঠে ছবি তোলায় সামাজিক মাধ্যমে (সোস্যাল মিডিয়ায়) তোলপাড় শুরু হয়েছে। এমন উদ্ভট আচরণে সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা লজ্জিত, অবাক এবং মর্মাহত বলে মন্তব্য করেছেন। সবচেয়ে বেশি দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে একটি গরুকে পাঁচবার জবাই করায়। অথচ শুধু কোরবানির পশুই নয়, যেকোনো পশু জবাইয়ের আগে অস্ত্রটি ধারালো কি না তা পরীক্ষা করে নেয়া উচিত। কোরবানির পশু গরু জবাইয়ের পর তার উপর বসে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রকাশ করায় কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। তবে এসব ছবির মধ্যে দুটি ছবি নিয়ে আলোচনা বেশি হয়েছে। ছবি দুটি নিয়ে অনেকের মতো মিম আফরোজা নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, অমানুষের বাচ্চাদের কাÐজ্ঞান দেখুন। নিথর অবলার গায়ে একপাল পশুই সাক্ষ্য দিচ্ছে, পশুত্বের কোরবানি হয়নি। মো. মনিরুল ইসলাম লিখেছেন, কিছু না লিখে পারলাম না। আসলে ওরা জানে না কোরবানি মানে কি? এই ছবিই বলে দেবে এরা কি কোরবানির নিয়তে গরু জবাই করছে, না গোশত খাবার ধান্দায় মাতাল হয়ে আছে। আল্লাহ তুমি এই নির্বোধদের জ্ঞান দাও।
জগলুল হোসেন লিখেছেন, একবার চিন্তাও করলো না, যে কি করছি। আসলে কোরবানি দেয়ার জন্য নয়, এটা করার জন্যই বোবা প্রাণীটাকে হত্যা করা হয়েছে মাত্র। রায়হান বাবু লিখেছেন, বিবেক হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত। যার বিবেকই নাই, তার তো কোরবানির দরকার নাই। এ সব অমানুষদের আসলে কি করা উচিত তাই ভেবে পাচ্ছি না। শয়তানের বংশধর। সাঈদ আনাম লিখেছেন, ওরা গরু নিয়ে সময় কাটাতে গিয়ে নিজেদের মাঝে পশুর চরিত্র আপলোড হয়ে গেছে। মাইন্ড কইরেন না।
ত্যাগ ও ইবাদত কবুলের ঈদ হলো ঈদুল আজহা। ত্যাগের মহিমায় মুসলমানদের তাকওয়ার পরিচয় দিতেই পশু জবাই করা হয়। কোরআন এবং হাদিসে বলা হয়েছে, মহান আল্লাহর কাছে কোরবানির পশুর রক্ত, মাংস কিছুই পৌঁছে না। পৌঁছে শুধু নিয়্ত এবং তাকওয়া। জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ঈদুল আজহা উদযাপিত হলেও পরের দুদিন অর্থাৎ ১১ ও ১২ জিলহজও পশু কোরবানির বিধান রয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেকে ওই দু’দিনও পশু কোরবানি করে থাকেন। কোরবানির মধ্য দিয়ে মোমিনরা নিজের ভেতরের পশুত্বকে পরিহার করা ও হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর মহান আত্মত্যাগের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে গত মঙ্গলবার সকালে মুসল্লিরা ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু কোরবানির ঈদের এই দিনে পশু জবাই করার পর এবং জবাই করার সময় পশুকে কষ্ট দেয়া হয়েছে মহান আল্লাহ ক্ষমা করবেন কি না তিনিই ভালো জানেন। এসব বিষয়ে সোস্যাল মিডিয়াতে এমন ছবি আপলোড করা ন্যক্কারজনক। আর যারা এসব করেছে তাদের উচিত কোরবানির পশু জবাইয়ের আগে মনের পশুত্বকে জবাই করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।