পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কোরবানীর বর্জ্য অপসারণে অন্যবারের তুলনায় এবার বেশি সফল বলে দাবি করেছেন ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক ও সাঈদ খোকন। ঈদুল আজহার আগের দিন রাতে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ঢাকা শহরের অলি-গলিসহ বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যায়। যে কারণে কোরবানীর পশু জবাই করার স্থান নিয়ে বিপাকে পড়ে নগরবাসী। এদিকে পরিবেশ দূষণ রোধ ও বর্জ্য অপসারণের সুবিধার্থে গত বছর থেকেই নির্ধারিত স্থানে কোরবানীর নিয়ম করা হলেও এবারও সে আহŸানে তেমন সাড়া মেলেনি বলে জানা গেছে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও নিজ নিজ এলাকা, বাড়ির আঙিনা এবং রাস্তার পাশে পশু কোরবানী দিয়েছে নগরীর অধিকাংশ মানুষ। দূরত্ব, অপ্রতুল পরিবহন ব্যবস্থা, কসাই নির্ধারণ জটিলতা, নির্ধারিত মাঠে বর্ষার পানিসহ নানা কারণে এ সাড়া মেলেনি বলে সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এছাড়া অনেকেই নির্ধারিত স্থান সম্পর্কে এখন সচেতন হয়ে উঠেননি। এদিকে কত শতাংশ মানুষ নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানীতে সাড়া দিয়েছেন তারও সঠিক কোন পরিসংখ্যান দিতে পারেননি ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা। তবে তারা দাবি করেছেন, নির্ধারিত ৪৮ ঘণ্টার আগেই নগরীর বর্জ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ সম্পন্ন করেছেন বলে দাবি করেছেন। কর্পোরেশন সূত্র জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যত্রতত্র পশু কোরবানী বন্ধের ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতি নির্দেশনা ছিল। সেই নির্দেশনা মতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় উদ্যোগী হয়ে ওই নির্দেশ বাস্তবায়নে সকল সিটি কর্পোরেশনকে অনুরোধ করে এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনই আলাদা আলাদাভাবে কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে কোরবানীর স্থান নির্ধারণে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রায় এক হাজারের মতো স্থান নির্ধারণ করা হয়। সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে কোরবানী দেয়া নিয়ে নগরবাসী এখনও দ্বিধা-দ্ব›েদ্ব আছে আলে অনেকই মনে করেন। কেউ কেউ এটিকে অবাস্তায়নযোগ্য বলেও মন্তব্য করেন। এতে এটিকে বাড়তি ঝামেলা মনে করে অনেকেই সাড়া দেয়নি। তবে, গতবারের তুলনায় এবার বেশি সাড়া পড়েছে বলে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দুই মেয়রের তথ্য মতে এবারের কোরবানীতে নগরীতে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ পশু কোরবানী হয়েছে। দুই সিটি কর্পোশনের আলাদা আলাদা উদ্যোগে রাজধানী শহর ঢাকা থেকে গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় ৩০ হাজার টন কোরবানীর বর্জ্য অপসারণের দাবি করেছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন পূর্ব ঘোষিত ৪৮ ঘণ্টার আগেই শতভাগ কোরবানীর বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, আমরা আগেই বলেছি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানীর বর্জ্য অপসারণ করবো। তার আগেই শতভাগ কোরবানীর বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে, যার পরিমাণ ১৯ হাজার ৮ টন।
তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব গাড়িসহ ৩২৪টি গাড়িতে ২ হাজার ৯০২টি ট্রিপের মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণ করা হয়। এর আগে ঈদের দিন দুপুর ২টায় সাদেক হোসেন খোকা মাঠের কোরবানী বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা শুরু হয়। গতকাল দুপুর ২টা পর্যন্ত সেই সময় ছিল।
মেয়র আরও বলেন, এবার ডিএসসিসি এলাকায় প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার পশু কোরবানী হয়েছে। নির্দিষ্ট স্থানে শতভাগ কোরবানী হয়নি। এ জন্য আরও কিছু সময় চান তিনি। আজও যদি কোরবানী হয়, সেই বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলেও জানান মেয়র সাঈদ খোকন।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক এ বছর ঈদুল আজহায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকা গতবারের চেয়েও বেশি ক্লিন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, আমরা নির্ধারিত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানীর সব বর্জ্য অপসারণ করেছি। গত ঈদের চেয়ে এবার শহর আরও বেশি ক্লিন হয়েছে।
ডিএনসিসির আওতাধীন পাঁচটি অঞ্চলে এক লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৫টি পশু কোরবানী করা হয়েছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত সাত হাজার ৮০১ দশমিক ৫৭ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঈদের দিন দুপুর ২টায় উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরে বর্জ্য অপসারণ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।