পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমন্ত্রণে কানাডায় অনুষ্ঠিতব্য ফিফথ রিপ্লেনিসমেন্ট কনফারেন্স অব দ্য গেøাবাল ফান্ড (জিএফ)-এ যোগ দিতে লন্ডন ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার লন্ডনের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৫ মিনিটে এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইটে করে প্রধানমন্ত্রী কানাডার মন্ট্রিলের উদ্দেশে লন্ডন ছেড়ে যান। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটি মন্ট্রিয়ল সময় বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে মন্ট্রিয়লের পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা। এর আগে প্রধানমন্ত্রী যাত্রাপথে লন্ডনে যাত্রাবিরতি করেন। বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে করে প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সময় গত বুধবার বিকাল ৪:০৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। ব্রিটেনে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার খন্দকার এম তালহা, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক নঈম উদ্দীন রিয়াজ ও আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী বাকিংহামশায়ারের স্টক পার্ক কাউন্টি হোটেলে পৌঁছান। লন্ডনে ২২ ঘণ্টার যাত্রা বিরতিকালে প্রধানমন্ত্রীর কোনো আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি ছিল না বলে জানিয়েছেন লন্ডনের মিনিস্টার প্রেস নাদিম কাদির। কানাডা যাত্রার আগে প্রধানমন্ত্রী নিজ হোটেলেই পরিবারের সদস্যদের সাথে কিছুটা সময় কাটিয়ে বাকি সময়টা বিশ্রাম নেন। লন্ডনে হোটেলে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিকীর মেয়ে আজলিয়ার জন্য রেখেছিলেন বাড়তি সময়। আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা-কর্মীরা যখন প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে হোটেলে উপস্থিত হন, প্রধানমন্ত্রী আজলিয়াকে কোলে নিয়েই নেতা-কর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন। প্রসঙ্গত, এর আগে মে মাসে প্রধানমন্ত্রী লন্ডন সফরকালে নবজাতক আজলিয়াকে দেখে গিয়েছিলেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্য সফরকে কেন্দ্র করে লন্ডনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে যুক্তরাজ্য বিএনপি। স্থানীয় সময় বুধবার বিকেল ৫টার দিকে বাকিংহামশায়ার স্টক পার্ক কাউন্টি হোটেলের বাইরে তারা এই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সেন্ট্রাল লন্ডনে পার্ক লেইন হোটেল ও বিমান বন্দর সংলগ্ন সোফিটেল হোটেলে ওঠার কথা থাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা দুপুর ১২টার দিকে পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে জমায়েত হন। পরে প্রধানমন্ত্রীর লন্ডনের অদূরে বাকিংহাম শায়ারের স্টকপার্ক কাউন্টি হোটেলে ওঠার খবর পেয়ে তারা বাকিংহামশায়ারে অবস্থিত স্টক পার্ক হোটেলের বাইরে গিয়ে জড়ো হয়ে তাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রধানমন্ত্রীর হোটেলের বাইরে আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তবে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনারের প্রেস মিনিস্টার নাদীম কাদির।
অন্যদিকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণ ও যুক্তরাষ্ট্রে নানা কর্মসূচি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় গত বুধবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘ বাংলাদেশ মিশন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন লিখিত বক্তব্য দেন। লিখিত বক্তব্যে মাসুদ বিন মোমেন জানান, আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে অবস্থান করবেন। এবারের অধিবেশনে ৭০ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ সরকারি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন তিনি। এদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন।
তিনি আরো জানান, অধিবেশনের সাধারণ বিতর্ক পর্বের আগে ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের উদ্যোগে ‘ইউনাইটেড নেশনস সামিট অন রিফিউজিস অ্যান্ড মাইগ্রান্টস’র অয়োজন করা হয়েছে। একে কেন্দ্র করে উচ্চপর্যায়ের অধিবেশনের পুরোটা সময় জুড়েই অসংখ্য নীতি-নির্ধারণী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আগামী ২০ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমন্ত্রণে আয়োজিতব্য ‘লিডার্স সামিট অন রিফিউজিস’ এ যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতে অবস্থান নেয়া ১০ মিলিয়ন শরণার্থীর বিষয়টি উল্লেখ করে শরণার্থীদের অধিকার সুরক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কতগুলো সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। লিডার্স সামিট ও ইউনাইটেড ন্যাশনস সামিট অন রিফিউজিস অ্যান্ড মাইগ্রান্টস উভয় সামিটে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের শরণার্থী ও অনিবন্ধিত মিয়ানমারের নাগরিক সম্পর্কিত সমস্যাটির একটি স্থায়ী, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য সমাধানের বিষয়টি তুলে ধরবেন।
প্রসঙ্গত, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র সফরে ১২ দিনের সরকারি সফরে গত বুধবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ত্যাগ করেন। বিমানবন্দরে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, আইজিপি, ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিন ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। পথিমধ্যে লন্ডনে ২২ ঘণ্টা যাত্রাবিরতি করেন তিনি।
এবারের সফরের প্রথম পর্বে ‘ফিফথ রিপ্লেনিসমেন্ট কনফারেন্স অব দ্য গেøাবাল ফান্ড (জিএফ)’-এ যোগদানের উদ্দেশ্যে ১৫ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম চারদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডা সফর করবেন। এরপর সফরের দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৮ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনে যোগদানের উদ্দেশ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। এইডস, য²া ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের লক্ষ্যে ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর কানাডার মন্ট্রিলে ‘জিএফ’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা লন্ডনের উদ্দেশ্যে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা হন। এরপর লন্ডনের স্থানীয় সময় গতকাল দুপুর ২টা ৫ মিনিটে তিনি কানাডার উদ্দেশে যাত্রা করেন। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটি মন্ট্রিলের পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে (মন্ট্রিল সময়)। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাবেন কানাডার কেন্দ্রীয় সরকারের একজন মন্ত্রী এবং অটোয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রাসহকারে মন্ট্রিলের হোটেল ওমনি মন্ট-রয়্যাল-এ নিয়ে যাওয়া হবে। কানাডা সফরকালে তিনি সেখানে অবস্থান করবেন। প্রধানমন্ত্রী ১৬ সেপ্টেম্বর হায়াত রিজেন্সি মন্ট্রিলের অনুষ্ঠেয় এই রিপ্লেনিসমেন্ট সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। পরে বিকেলে তিনি একই হোটেলে অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে সম্মেলনের মিনিস্ট্রিয়াল প্লেজিং মোমেন্ট ও আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনায় অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী হায়াত রিজেন্সি মন্ট্রিলে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দেয়া আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে অংশগ্রহণ করবেন। ১৭ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্ব তহবিলের নির্বাহী পরিচালক মার্ক দাইবালের সঙ্গে সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। একই দিনে তিনি ‘রিমুভিং বেরিয়ার্স টু হেলথ থ্রো এম্পাওয়ারিং উইমেন অ্যান্ড গার্লস অ্যান্ড রিচিং দ্য মোস্ট মার্জিনালাইজড’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা-১ এবং ‘এনগেজিং অ্যান্ড মোবিলাইজিং ইয়ুথ টু মিট দ্য সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা-২-এ অংশ নেবেন। তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও কানাডার গভর্নর জেনারেল ডেভিড জনস্টনের যৌথ আয়োজনে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন। পরে তিনি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে যোগদান করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। ১৯৭১ সালে জাস্টিন ট্রুডোর বাবা পিয়েরে ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য সমর্থন ও অবদান রাখেন। তার প্রতি সম্মান জানাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়্যার অনার’ মরণোত্তর পুরস্কার জাস্টিন ট্রুডোর কাছে হস্তান্তর করবেন।
১৮ সেপ্টেম্বও শেখ হাসিনা দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে (মন্ট্রিল সময়) এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইটযোগে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে মন্ট্রিল ত্যাগ করবেন। এই ফ্লাইটটি নিউইয়র্কের লা গার্ডিয়া বিমানবন্দরে বিকেল ৩টায় (নিউইয়র্ক সময়) পৌঁছার কথা। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। পরে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে নিউইয়র্কেও হোটেল ওয়ার্ল্ডোফ অস্টোরিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে। নিউইয়র্কে অবস্থানকালে তিনি এ হোটেলেই থাকবেন। শেখ হাসিনা ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে উদ্বাস্তু ও অভিবাসনের ওপর সাধারণ পরিষদের উচ্চপর্যায়ের প্লেনারি বৈঠকে ভাষণ দেবেন। তিনি ‘গেøাবাল কমপেক্ট ফর সেফ, রেগুলার এন্ড ওর্ডারলী মাইগ্রেশন : টেকসই উন্নয়নবিষয়ক এজেন্ডা-২০৩০ বাস্তবায়ন এবং অভিবাসীদের মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা অর্জনবিষয়ক রাউন্ড টেবিল-৫-এ’ যৌথভাবে সভাপতিত্ব করবেন। প্রধানমন্ত্রী ২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনের সাধারণ আলোচনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এরপর হোটেল ম্যারিয়ট ইস্টসাইডে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে আয়োজিত কাউন্টার টেররিজমের ওপর এশিয়ান লিডার্স ফোরামের বৈঠকে যোগ দেবেন। শেখ হাসিনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আয়োজিত উদ্বাস্তুবিষয়ক এক বৈঠকে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি ২১ সেপ্টেম্বর সুইডিস প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন লো ভেশ আয়োজিত ‘ডিসেন্ট ওয়ার্ক এন্ড ইনক্লুসিভ গ্রোথ’ বিষয়ক সোস্যাল ডায়ালগ সংক্রান্ত গেøাবাল ডিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে কথা রয়েছে। তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে পানিবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের এক প্যানেল বৈঠকে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী ওইদিন বিকেলে জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনের সাধারণ আলোচনায় বক্তব্য রাখবেন। তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের দেয়া এক সম্বর্ধনা সভায় এবং হোটেল ওয়ার্ল্ডোফ অস্টোরিয়ায় বিজনেস কাউন্সিল অব ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং (বিসিআইইউ) আয়োজিত এক ভোজসভায় যোগ দেবেন।
শেখ হাসিনা ২১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে হোটেল গ্রান্ড হায়াতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেয়া এক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেয়ার পাশাপাশি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সুকি, সুইস প্রেসিডেন্ট জোহান সেনিডার আম্মান এবং কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া জ্যানেট স্কটল্যান্ড ও ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডবিøউইএফ) নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লাউস শোয়াব এবং বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
তিনি ২২ সেপ্টেম্বর সড়ক পথে ভার্জিনিয়ার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন এবং ২৫ সেপ্টেম্বর এমিরেট্স এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ডিসি’র ডুলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন। শেখ হাসিনাকে বহনকারী ফ্লাইটটি দুবাই হয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, এলজিআরডি ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ডা. দীপু মনি এমপি প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।