Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা রাখতে চায় দোকান মালিকদের নতুন বায়না

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

 ‘বসতে দিলে বিছানায় শুইতে চায়’ প্রবাদের মতোই আচরণ করছে দোকান মালিকরা। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ধারাবাহিক ভাবে লডডাউন দেয়অ হচ্ছে। সবকিছু বন্ধ থাকলেও ঈদুল ফিরতের কারণে মার্কেট ও শপিংমলগুলোকে কয়েক ঘন্টা খোলার রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এখন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার বায়না ধরেছে।

এদিকে মিছিল-বিক্ষোভ করলেই সরকার দাবি মেনে নেয় বুঝতে পেরে গণপরিবহণের মালিক ও শ্রমিকরা আন্দোলনের কথা বলছে। তারাও ঘোষণা দিয়েছে সরকার তাদের দাবি না মানলে ৪ মে থেকে গণপরিবহণ রাস্তায় নামাবে। দোকান মালিক সমিতি বলছে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চলমান ‘লকডাউনে’ ক্রেতা সাধারণ, দোকান মালিক ও কর্মচারীদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দোকান ও শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হোক। গতকাল রোববার এ সংক্রান্ত এক চিঠিতে দোকান ও শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানানো হয়। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মন্ত্রিপরিষদের সিনিয়র সচিব ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে।

দোকান মালিক সতিতি চিঠিতে বলেছে, চলমান ‘লকডাউনে’ সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মার্কেট ও দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতা সাধারণ বিকেল ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে কেনাকাটা শেষ করে বাসায় ইফতার করে। কারণ সমস্ত হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় বাইরে ইফতার করার কোনো সুযোগ থাকে না। অন্যদিকে বেসরকারি অফিস ৪টায় ছুটি হয়। তারা মার্কেটে গিয়ে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কেনাকাটা করে। এতে দেখা যায় এ সময় মার্কেটে ক্রেতাদের চাপ বাড়ে ও প্রচÐ ভিড় হয়। বাসায় গিয়ে ইফতার করতে সন্ধ্যা ৭টা বেজে যায়। মার্কেট ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকলেও এক ঘণ্টার জন্য কেউ মার্কেটে আসে না। ফলে এ সময় মার্কেটে ক্রেতা শ‚ন্য হয়ে পড়ে। বিভিন্ন টক শোতে বিশেষজ্ঞরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত মার্কেটে কেনাকাটায় ক্রেতা সাধারণের প্রচÐ চাপ বাড়ে সেজন্য মার্কেট ও দোকানসমূহ সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা রাখলে বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ক্রেতা সাধারণের মার্কেটে যে ভিড় থাকে সেটা কমে যাবে ও ক্রেতা সাধারণ সময় নিয়ে কেনাকাটা করার সুযোগ পাবে।

চিঠিতে আরো দাবি করা হয় প্রত্যেক মার্কেট কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ৯৫ শতাংশ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। যেহেতু ঈদের আর মাত্র ১০ দিন বাকি সেহেতু ক্রেতা সাধারণ, দোকান মালিক-কর্মচারীদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেওয়ার জন্য সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। কিন্তু গতকাল রাজধানীর নিউ মার্কেট, গাউছিয়া, এ্যালিফ্যান্ট রোড, চাদনি চক, টিকাটুলির রাজধানী কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতা বিক্রেতা কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। অনেকের মুখে মাস্ক দেখা গেলেও গদাগাদি করে কেনাবেচা করছেন। এমনকি গাউছিয়া ও চান্দ্রিমা মার্কেটে ঠেলাঠেলি করে ক্রেতাদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

উল্লেখ মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে সমগ্র বাংলাদেশের সব দোকান বন্ধ রাখা হয়। পরবর্তীতে ক্ষুদ্র, পাইকারি, খুচরা ব্যবসায়ীদের চরম ক্ষতির কথা চিন্তা করে আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ এপ্রিল থেকে বিশেষ বিবেচনায় প্রথমে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ও পরবর্তীতে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকাল খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। ##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ