Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বদরের চেতনায় দুর্নীতি বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে

বদর দিবসের ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০২১, ১২:০২ এএম

যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্বীর্য ও নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে গতকাল ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস পালিত হয়েছে। বিভিন্ন মসজিদে জুমার আলোচনায় বদর দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরেন পেশ ইমামরা। এছাড়া বিভিন্ন ইসলাম দল ও সংগঠনের উদ্যোগে বদর দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আয়োজন করা হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধের চেতনায় দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ময়দানে ঝাপিয়ে পড়েতে হবে।
ইসলামে চিরস্মরণীয় ও গৌরবময় একটি অধ্যায় হলো বদরযুদ্ধ। বদর নামক স্থানে এ মাসেই সংঘটিত হয়েছিল হক ও বাতিলের, ইমান ও কুফরের মধ্যে প্রথম যুদ্ধ। বদর মদিনার অদূরে অবস্থিত একটি কূপের নাম। এই কূপের নিকটবর্তী আঙ্গিনাকে বদর প্রাস্তর বলে অভিহিত করা হয়। ৬২৪ খ্রিস্টাব্দে তথা দ্বিতীয় হিজরীর ১৭ রমজান এ প্রাস্তরেই সংঘটিত হয়েছিল মুসলমান ও কাফেরদের মধ্যকার এ ঐতিহাসিক যুদ্ধ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছেন, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বদরের চেতনায় ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তিনি বলেন, বদরের জেহাদে সত্যপথের অনুসারী অল্প সংখ্যক রোজাদার মুসলমান বিশাল অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত মিথ্যার অনুসারী কাফের-মুশরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করে সত্য-মিথ্যার চির পার্থক্য সূচনা করেছিলেন। ইসলামী আন্দোলনও বদরের চেতনায় তাগুতি ও খোদাদ্রোহী শক্তির মোকাবেলায় ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছি। তিনি মাহে রমজানে গ্রেফতার অভিযান বন্ধ রেখে গ্রেফতারকৃত সকল আলেম-উলামাদের মুক্তির দাবি জানান।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ঐতিহাসিক বদর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে নগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ,দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও শ্রমিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, নুরুল করীম আকরাম, আলহাজ আনোয়ার হোসেন, আলহাজ আব্দুল আউয়াল মজুমদার।
ইসলাহুল উম্মাহ বাংলাদেশ : ইসলাহুল উম্মাহ বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে গতকাল বাদ আসর চকবাজারের কামালবাগে ঐতিহাসিক বদর দিবস উপলক্ষে আলোচানা সভা ও ইফতার মাহফিলে সংগঠনের আমির আল্লামা আব্দুর রব আব্বাসী বলেন, বদর দিবসের শিক্ষা নিয়ে ঈমানী তাকওয়া অর্জনের পথে অগ্রসর হতে হবে। প্রত্যেক মুসলমানকে বেশি বেশি শুকরিয়া আদায় করতে হবে। কেননা আল্লাহপাক রাসুল (সা.)সহ ৩১৩ জন সাহায়ে কেরামের মাধ্যমে ঈমানী বলে বলীয়ান হয়ে বদর যুদ্ধে বিজয় দান করেছেন। সংগঠনের সভাপতি আলহাজ আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন, মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন মাইজী, হাফেজ মাওলানা মুফতি শরীফুল হক আব্বাসী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবু বকর সিদ্দিক।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ : গতকাল ঐতিহাসিক বদর দিবস উপলক্ষে বাদ জুমা বাংলাদেশ মুসলিম লীগ এক ভার্চুয়াল আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে নেতৃবৃন্দ করোনায় অসহায় দরিদ্রদের যাকাতের টাকা দান করে সাহায্যের হাত প্রশস্ত করার জন্য বিত্তবানদের আহবান জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে প্রিয়নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর অনুকরন অনুসরণ করাই প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব। নেতৃবৃন্দ বলেন, সফলতা ও কল্যাণের মাস রমজান। বিজয়ের মাস রমজান। রমজান মাসেই ইসলামের বড় বড় বিজয় সংঘটিত হয়। এরই অন্যতম হলো ঐতিহাসিক বদরের বিজয়।
ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি সাবেক এমপি এডভোকেট বদরুদ্দোজা সুজা, মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, নির্বাহী সভাপতি আবদুল আজিজ হাওলাদার, স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহসভাপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, শেখ আব্দুল কাইয়ুম যশোরী ও এডভোকেট মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, অতিরিক্ত মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান।

 

 



 

Show all comments
  • Dadhack ১ মে, ২০২১, ১২:১৩ পিএম says : 0
    আল্লাহ আলেমদেরকে ফরজ দায়িত্ব দিয়েছেন দেশ শাসন কোরআন দিয়ে করতে, আল্লাহ তাআলা কুরআনে সালাত কায়েম এর সাথে দ্বীন কায়েমের কথা বলেছেন. সালাত কায়েম করা যেমন ফরজ অনুরূপভাবে দ্বীন কায়েম করা ফরয. আমাদের দেশে এত আলেম ও মুসলিম থাকতে কেন দেশ শাসন করা হয় কাফের আইন দিয়ে. তার একমাত্র কারণ যে আপনারা আলেম বলে দাবি করেন কিন্তু আপনারা এক ইসলামের পতাকাতলে নাই. আপনারা একে অপরকে ঘৃণা করেন আপনারা কি জানেন না যে আমাদের আল্লাহ এক, আমাদের রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নত [হাদিস] তাহলে কেন আপনারা দিনের মধ্যে বিভক্ত তৈরি করেছেন??? আপনারা কি কোরআন পড়েন না আল্লাহ তাআলা কুরআনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে যারা দিনকে খণ্ড খণ্ড ভাবে বিভক্ত করবে তাদের জন্যে রয়েছে মহাশাস্তি: নবীজি মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম এক, হাদিস এক, তাহলে আপনারা কেন দলে দলে বিভক্ত হয়েছেন ?? কারণ একটাই তা হলো আপনারা নিজেদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করেন আপনারা আল্লাহকে ভয় করেন না আপনারা তাগুত কাফের সরকারকে ভয় করেন অথচ আল্লাহ তাআলা বলেছেন আলেম তারাই যারা আল্লাহকে করে ভয় . আপনারা কেন দলে দলে বিভক্ত হয়েছেন কারণ একটাই তা হলো আপনারা নিজেদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করেন আপনারা আল্লাহকে ভয় করেন না আপনারা তাগুত কাফের সরকারকে ভয় করেন অথচ আল্লাহ তাআলা বলেছেন মুসলিম তারাই যারা আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ কোরআনে ভয়ংকর হুঁশিয়ারি দিয়েছে.. Surah:3: Ayat: 105: “এবং তাদের মতো হয়ো না, যারা পরষ্পর বিছিন্ন হয়ে গেছে এবং যাদের মধ্যে মতবিরোধ হয়েছে, এরপর যে, সুস্পষ্ট নির্দশনাদি তাদের নিকট এসেছিলো । আর তাদের জন্য কঠিন শাস্তি অবধারিত” যারা আল্লাহর দ্বীনকে খণ্ড খণ্ড ভাবে বিভক্ত করেছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ