পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। করোনা আক্রান্ত হলেও তার শারীরিক অবস্থা এখনো স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন- তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মো. আল মামুন। তিনি জানান, হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়া ননকোভিড কেবিনে আছেন। করোনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াও তার পুরোনো অসুস্থতার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এজন্য তাকে আরও দু’তিন দিন হাসপাতালে থাকতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ডা. মামুন বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। বৃহস্পতিবারও তার বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়েছে। সব পরীক্ষা শেষ করে বেগম জিয়ার হাসপাতাল ছাড়তে আরও দুই থেকে তিনদিন সময় লাগবে। আগামী সপ্তাহে তৃতীয়বারের মতো তার কোভিড পরীক্ষা করানো হবে।
গত বুধবার খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা জানান, বেগম খালেদা জিয়াকে কতদিন হাসপাতালে থাকতে হবে, তা নিশ্চিত নয়। আরও কিছু পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের পর সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। করোনা আক্রান্তের ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরে খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হয়েছিল; কিন্তু ফলাফল পজিটিভ আসে।
এমন প্রেক্ষাপটে সিটি স্ক্যান (চেস্ট)সহ বেশকিছু পরীক্ষার জন্য গত মঙ্গলবার রাতে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই রাতেই তার সিটি স্ক্যান (চেস্ট), ইসিজি, ইকোসহ হৃদরোগের পরীক্ষাগুলো করা হয়। পরদিন তার চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এর মধ্যে বেগম জিয়ার তিনজন ব্যক্তিগত চিকিৎসকও রয়েছেন।
এদিকে বুধবার রাতে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের সদস্য অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন জানান, ম্যাডামের চেস্ট সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট ভালো। হৃদযন্ত্রের মধ্যেও কোনো ধরনের কার্ডিও সমস্যা নেই। এছাড়া ম্যাডামের কোনো করোনা উপসর্গও নেই। সে কারণে উনি; কিন্তু এখন নন-করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।
খালেদা জিয়া দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত আর্থাটাইটিজ, ডায়াবেটিস ও চোখের সমস্যায় ভুগছেন। গত মঙ্গলবার খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর অধ্যাপক ডা. এফএম সিদ্দিকী বলেছিলেন, আমরা উনার অন্যান্য যেসব পরীক্ষা গত এক বছর করতে পারিনি সেগুলো করাব। সেজন্য পরীক্ষাগুলো সারতে আমরা উনাকে কেবিনে ভর্তি করিয়েছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।