পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পবিত্র কুরআন নাজিল হওয়ার পর আল্লাহর নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাহাবাগণের মধ্যে ৪০ জন ছিলেন কাতেবে অহি যারা চামড়া, পাথর, খেজুরের পাতায় ইত্যাদিতে লিখে রাখতেন। অন্যরা মুখস্থ পদ্ধতিতে কোরআন মাজিদ সংরক্ষণ করতেন। এরপর হযরত ওমর রা.-এর অনুরোধে প্রথম খলিফা আবু বাকার রা.-এর সময় প্রথম পূর্ণ কোরআন লিখা হয়। এরপর ইসলামের প্রসারিত অঞ্চল বিস্তৃত হলে নানা উচ্চারণে কোরআন মাজিদ তেলাওয়াত করা শুরু হয় এবং প্রত্যেকেই নিজেদের উচ্চারণকে বিশুদ্ধ বলে দাবি করতে থাকেন।
হজরত হুজাইফা রা: অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে হজরত ওসমান রা.- কে অবগত করলেন এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করলেন। হজরত যায়েদ ইবনে ছাবেত, আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের, সাইদ ইবনে আছ এবং আবদুর রহমান ইবনে হারেছকে পুনরায় কুরাইশের ভাষায় হাফছা রা.-এর কাছে সংরক্ষিত কপির অনুরূপ একাধিক কপি লিপিবদ্ধ করার আদেশ দিলেন। কপিগুলোকে যথাক্রমে মক্কা, মদিনা, শাম, বসরা এবং কুফায় প্রেরণ করলেন। পরিশেষে এক কপি হযরত ওসমান রা. নিজের কাছে রাখলেন। আজও পৃথিবীব্যাপী হাফছা রা.-এর সেই লাহানেই কুরআন মাজিদ তেলাওয়াত করা হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় অবস্থিত কাল্বা পাবলিক লাইব্রেরিতে পবিত্র কুরআনের পুরনো পান্ডুলিপির প্রদর্শনী চলছে। প্রদর্শনীতে পবিত্র কিতাবের চল্লিশটি পাÐুলিপি প্রদর্শন করা হচ্ছে। গ্রন্থাগারের কর্মকর্তাদের মতে, এগুলো ৪০০ থেকে ১০০ বছর আগের।
অনুলিপিগুলোর একটির ওজন প্রায় ১০ কিলোগ্রাম। আমিরাতের ক্যালিগ্রাফার আলী আবদুল্লাহ আল-হিমাদির উদ্যোগে শুরু হওয়া এ প্রদর্শনীতে ইতিহাসের বিভিন্ন যুগে কুরআন লিখনের বিকাশের পর্যায়ও তুলে ধরা হয়েছে।
আল-হিমাদি গত ১৯ বছরে আজারবাইজান, উজবেকিস্তান, রোমানিয়া এবং কিরগিজস্তানের মতো বিভিন্ন দেশ থেকে কুরআনের অনুলিপি সংগ্রহ করেছেন। তিনি দর্শনার্থীদের জন্য কুরআন ক্যালিগ্রাফি কর্মশালা রাখেন যেখানে তিনি নাসখ ক্যালিগ্রাফির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেছেন। আল-হিমাদি আশা করছেন যে, তিনি একদিন কুরআনের অনুলিপি সংগ্রহের জন্য নিজের একটি যাদুঘর চালু করতে সক্ষম হবেন। সূত্র : ইকনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।