পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সরকারের ধান ও চাল সংগ্রহ কর্মসূচি হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানী থেকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে ধান কেনার মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মন্ত্রী উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহে কোনো সিন্ডিকেট সহ্য করা হবে না। সংগ্রহের ক্ষেত্রে ধানের গুণগত মান শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না। সে বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান দফতর থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তা কর্মচারীদের সতর্কতার সঙ্গে সচেষ্ট থাকতে হবে। সরকার কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করাসহ নানা সুযোগ সুবিধা অব্যাহত রেখেছে।
এবার বোরো মৌসুমে সারাদেশে সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান, মিলারদের কাছ থেকে ৪০টাকা কেজি দরে ১০ লাখ টন সেদ্ধ চাল ও ৩৯ টাকা কেজি দরে দেড় লাখ টন আতপ চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গতকাল (২৮ এপ্রিল) থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছে। আগামী ৭ মে থেকে শুরু হবে চাল কেনা। ধান ও চাল কেনা চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
ধান কেনা কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিভাগের নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলা, রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ ও বগুড়া জেলা, রংপুর বিভাগের দিনাজপুর জেলা এবং সিলেট বিভাগের সিলেট সদর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ- এই ৯টি জেলার জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, মিল মালিক এবং কৃষক প্রতিনিধিরা অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সঠিকভাবে সামাজিক দ‚রত্ব বজায় রেখে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, মাস্ক পরিধান করে ধান সংগ্রহের মাধ্যমে মজুত ত্বরান্বিত করার নির্দেশনা দেন। গুদামে ধান দেয়ার সময় কৃষককে যাতে কোনো প্রকার হয়রানির শিকার হতে না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি নির্দেশ দেন মন্ত্রী। পাশাপাশি ধান এবং চালের মানের সঙ্গে কোন প্রকার আপস করা হবে না বলেও জানান তিনি।
এছাড়া যে সব উপজেলায় অ্যাপসের মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হবে, সেখানে যদি কোন কৃষক অ্যাপসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে সমস্যায় পড়েন তা হলে সংশ্লিষ্ট কমিটিকে বিষয়টির গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত সমাধান করার নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী।
এ সময় অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবর রহমানসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।