Inqilab Logo

শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসকন ও হরেকৃষ্ণ আন্দোলন সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

সরকারকে সজাগ থাকতে হবে

প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট হাসপাতালসংলগ্ন কাজল শাহ জামে মসজিদে জুমার নামাজের সময় ইসকন ও হরেকৃষ্ণ আন্দোলনের লোকজন কর্তৃক গান, বাদ্য বাজিয়ে নামাজকে বাধাগ্রস্ত করার প্রেক্ষিতে পুলিশ কর্তৃক অন্যায়ভাবে শতাধিক মুসল্লি গ্রেফতার এবং মন্দির থেকে মুসল্লিদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমান ও মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক। গতকাল এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে নামাজের সময় সকল প্রকার গান, বাদ্য ইত্যাদি বন্ধে আইন করতে হবে। দেশের সকল মসজিদের নিকটবর্তী এলাকায় ও মন্দিরে গান-বাজনা বন্ধসহ মসজিদের জায়গা দখলবাজমুক্ত রাখার জোর দাবি জানান। বিবৃতিতে আরো বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর সিলেট হাসপাতাল সংলগ্ন কাজল শাহ জামে মসজিদে পবিত্র জুমার নামাজের পূর্ব থেকে পার্শ¦বর্তী ইসকন এবং হরেকৃষ্ণ আন্দোলন নামীয় হিন্দু ভক্তরা উচ্চ আওয়াজে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নামাজকে বাধাগ্রস্ত করে। একপর্যায়ে মুসল্লিরা উক্ত মন্দিরে এসে ইসকন ও হরেকৃষ্ণ আন্দোলনের লোকদের নিকটে এসে উচ্চৈঃস্বরে বাদ্যযন্ত্র বাজানোর প্রতিবাদ করেন। এ সময় ইসকনের লোকজন গান বাজনা বন্ধ করবে বলে মুসল্লিদের জানান। তখন মুসল্লিরা মসজিদে গিয়ে নামাজ শুরু করলে ঐ মন্দির থেকে আরো উচ্চৈঃস্বরে গান বাদ্য বাজানো শুরু হয়। এরফলে ইমামের তাকবীর শোনা বাধাগ্রস্ত হলে নামাজে রুকু সিজদায় চরম বিঘœ ঘটে। নামাজশেষে মুসল্লিরা উক্ত মন্দির এসে উত্তপ্ত প্রতিবাদ জানায়। এ পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। একপর্যায়ে ইসকন মন্দিরের পক্ষ থেকে মুসল্লিদের উপর গুলি ছুড়লে ৮/১০ মুসল্লি আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শতাধিক মুসল্লিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত। এধরনের কর্মকা- এদেশে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার পদধ্বনি। তারা বলেন, যারা মুসল্লীদের উপর হামলা ও গ্রেফতার করে সাম্প্রদায়িক সমপ্রীতি বিনষ্ট করছে তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার ফলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কর্তৃক আল্লাহ, রাসূল সা. নিয়ে বারবার জঘন্য কটূক্তির ঘটনাও ঘটানো হচ্ছে। এধরনের ঘটনা ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে চলতে পারে না। এর আশু সমাধান করতে সরকারকে জরুরী ভূমিকা নিতে হবে। অন্যথায় দেশের কোটি কোটি মুসল্লি সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। মসজিদে নেতৃবৃন্দ বলেন, মসজিদের পাশাপাশি মন্দির-গির্জা রয়েছে এসব মসজিদে ইবাদাতকালীন সময়ে উচ্চ আওয়াজে গান-বাদ্যযন্ত্র বাজানো নিষিদ্ধ করতে হবে।  



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসকন ও হরেকৃষ্ণ আন্দোলন সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ