Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

চট্টগ্রামে শেষ বাজারে চমকের অপেক্ষা

প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রফিকুল ইসলাম সেলিম : চট্টগ্রামে শেষ বাজারে চমকের অপেক্ষায় ক্রেতা-বিক্রেতারা। পশুর হাটগুলোতে গবাদিপশুর বিপুল সমাহার। ক্রেতাদের ভারে টালমাটাল প্রতিটি কোরবানির হাট। তারপরও কেনাকাটায় কিছুটা মন্দা। বিক্রেতারা বেশি দাম হাঁকছেন। ক্রেতারা ঘুরেফিরে দেখছেন আর অপেক্ষা করছেন দাম কমার। বিক্রেতাদের আশা আজ (সোমবার) শেষ দিনে ক্রেতারা তাদের বিমুখ করবেন না। কোরবানির পশু নিয়ে বাড়ি ফিরবেন তারা। ক্রেতারাও ভাবছেন দর কষাকষির দিন শেষ হবে আজ। বিক্রেতারা ন্যায্য দামেই পশু ছেড়ে দেবেন। পশুর হাটের শেষ দিনটিকে ঘিরে তাই ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় পক্ষই এখন চমকের অপেক্ষায়।  
বন্দরনগরীর ৮টি পশুর হাটে বেচাকেনা চলছে। মহানগরীর স্থায়ী বাসিন্দা যারা তারা ইতোমধ্যে কোরবানির পশু কিনে ফেলেছেন। যারা ভাড়া বাসা কিংবা ফ্ল্যাট বাড়িতে থাকেন তারা আজকের মধ্যেই কোরবানির পশু কেনা পর্ব শেষ করবেন। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গবাদিপশুর অভাব নেই। গতকালও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে ট্রাকে গরু এসেছে। নগরীর স্টিল মিল বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সারি সারি গবাদিপশু। ব্যবসায়ীরা জানান, সিমেন্ট ক্রসিং থেকে কাটগড় মোড় পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশ গরুতে ছিল ঠাসা। বিক্রি শুরু হতেই গরুর সংখ্যা কিছুটা কমে আসে। শেষ বাজারকে টার্গেট করে গতকাল আরও গরু এসেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ দেশি গরু। ক্রেতারা বলছেন দামও মোটামুটি নাগালের মধ্যে। সকালে এক পশলা বৃষ্টি হওয়ায় বাজারে কিছুটা ছন্দপতন হয়। তবে দুপুরের পর থেকে বাজার বেশ জমে উঠে। নগরীর সাগরিকা ও বিবির হাট গরুর বাজারেও বেচাকেনা চলছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, এ দু’টি স্থায়ী বাজারে বেপারীরা চড়া দাম হাঁকছেন গরু-মহিষের। বিক্রেতারাও কিছুটা সময় ক্ষেপণ করছেন। আর এ কারণে বেচা বিক্রি পুরোদমে জমে উঠেনি। দাম কিছুটা কমে যাবার এই আশঙ্কাকে মাথায় নিয়েও ঝুঁকিটা নিতে চাচ্ছে বেপারিরা। তাই অতিরিক্ত দাম হাঁকিয়ে এখনও ক্রেতার মনোভাব বুঝতে চাচ্ছেন তারা।
নগরীর নুর নগর হাউজিং সোসাইটি এলাকায় বসা কর্ণফুলী গরুর বাজারে বিপুল সংখ্যক গরু-মহিষের সমাবেশ ঘটে। গরুর ভারে বাজার সীমানা ছাড়িয়ে আশপাশের এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এর মধ্যে কিছুক্ষণ পর পর গ্রাম থেকে ট্রাকে করে গরু নিয়ে বাজারে আসছেন বেপারিরা। অতিরিক্ত গরু বাজারে জায়গা দিতে একপ্রকার হিমশিম খাচ্ছেন ইজারাদাররা।
ক্রেতারা বলছেন, বাজারে গরুর অভাব নেই অথচ বিক্রেতারা চড়া দাম হেঁকেই চলেছেন। গরু ছাড়তে চাইছেন না বেপারীরা। এতে কিছুটা বিরক্তও তারা। ক্রেতাদের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিক্রেতাদের পাল্টা বক্তব্য, গরু পালনে খরচ বেড়েছে। তাছাড়া বাজার পর্যন্ত আনায় যাতায়াত খরচ নানা কারণে দাম কিছুটা বাড়তি চাওয়া হচ্ছে। তাদের অভিযোগ ক্রেতারা যে দামে গরু চাচ্ছে তাতে বিক্রেতাদের লোকসান গুণতে হবে।





 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রামে শেষ বাজারে চমকের অপেক্ষা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ