Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বব্যাপী ইকো-সিস্টেম তৈরিতে কাজ করেছে অপো

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ৫:৪৬ পিএম

২০০৪ সালে যাত্রার পর থেকে বিশ্বব্যাপী টেকসই ইকো-সিস্টেম তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে অপো। পরোক্ষভাবে কার্বন গ্যাস নির্গমন হ্রাস, রিসাইক্লিং, প্লাস্টিক, পানি ও বিদ্যুতের ব্যবহার কমানো, নবায়নযোগ্য ফাইবারের ব্যবহার এসব কিছুই ইকো সিস্টেমের অংশ। তাছাড়া কোটি কোটি গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছে অপো। এজন্য স্বীকৃতি স্বরূপ আইএসও, ট্রাস্টআর্ক এবং ইপ্রাইভেসি থেকে সনদও পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

অপো জানায়, তারা সার্কুলার ইকোনমির অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে ১৩ গুণ বেশি রি-সাইকেল করেছে। ২০২০ সালে আগের বছরের চেয়ে পানি ও বিদ্যুতের ব্যবহার কমিয়েছে যথাক্রমে ২৫.৮ ও ১২.৪ ভাগ। একই সময় বর্জ্য ও পরোক্ষ গ্রিন-হাউজ গ্যাস নির্গমন কমানো হয়েছে যথাক্রমে ৪২.৭ এবং ২০ ভাগ।

অপো জানায়, তাদের ফোনগুলোতে ৩৫ ভাগ রি-সাইকেল প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। ৪৫% নবায়নযোগ্য ফাইবার থেকে তৈরি করা হয় প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়্যালস। ইউরোপে রেনো২ এর তুলনায় রেনো৩ এর প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো হয়েছে ৯০ ভাগ। আর রেনো২ এর তুলনায় রেনো৩ এ প্যাকেজিং ওজন কমেছে ২৪ ভাগ।

তাছাড়া, অপো এমনভাবে মডিউলার ডিজাইন করে থাকে যাতে যেকোন পণ্য সহজে মেরামত ও রিপ্লেস যায়। পণ্যগুলো যাতে দীর্ঘস্থায়ী হয় তাই ফ্রি-সিস্টেম ও সফটওয়্যার আপগ্রেড সার্ভিস সরবরাহ করা হয়।

এছাড়া নিজেদের কর্মীদের জন্য শুধুমাত্র ২০২০ সালে ৬৭০,০০০ ঘণ্টার বেশি শিক্ষামূলক সেশন ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে অপো। এমনকি চলমান কোভিড মহামারির মধ্যে অপো মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। যেমন ফিলিপাইনে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিশুরা যাতে শিক্ষা বঞ্চিত না হয় সেজন্য বিশ্বখ্যাত ‘সেইভ দ্য চিলড্রেন’ এর সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে অপো। থাইল্যান্ডে মেডিক্যাল কর্মীদের মধ্যে অপো ২০ হাজারের বেশি এন৯৫ মাস্ক ও ১৩টির বেশি হাসপাতালে মেডিকেল কিট বিতরণ করেছে। তাছাড়া ক্যাম্পাস গ্লোবাল ইমার্জিং আর্টিস্ট প্রজেক্ট রেনোভেটর প্রেগামের মতো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সংস্কৃতি চর্চায় অবদান রাখছে অপো। এসব কিছুই অপোর গ্লোবাল ইকো-সিস্টেমের অংশ।

এ সম্পর্কে অপো’র প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টনি চেন বলেন, অপো যাত্রার পর থেকে এর গ্রাহক, কর্মকর্তা এবং পার্টনারদের জীবনমান উন্নয়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সাথে পরিবেশ, সমাজ নিয়েও ভাবে অপো। উদ্ভাবনের মাধ্যমে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ মানের পণ্য নিশ্চিতে বিশ্বব্যাপী কাজ করছে অপো যাকে ‘ইন্টারনেট অব এক্সপেরিয়েন্স’ বলা হয়। তিনি বলেন, অপো’র ব্র্যান্ড মিশন হচ্ছে ‘মানবজাতির জন্য প্রযুক্তি, বিশ্বের জন্য মহানুভবতা’।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অপো


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ