পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভূমি মন্ত্রণালয়ে থেকে ডিডিটাল করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু বাস্তবতা এখনো ভিন্ন। দেশে এখনো এসএ, সিএস ও আরএস রেকর্ডের সংশোধনীর (১৯৬২) কাজ শেষ হয়নি। রেকর্ডের সংশোধনী নিয়ে উচ্চ আদালতে এখনো লাখ লাখ মামলা। তদুপরি বর্তমানে চলছে বিআরএস এবং মহানগর জরিপ প্রকাশ করেছে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর। কিন্তু সেই রেকর্ড আবার ভুলেভরা।
এদিকে বিআরএসের প্রকাশের ভিত্তিতে ব্যক্তি মালিকানা হাজার হাজার একর জমি চলে গেছে সরকারি খাস খতিয়ানে। সেই জমি আবার অনেক উপজেলায় সরকারি বাড়ি বানিয়ে দেয়া হয়েছে। সরকারের ঘোষিত ‘রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়নকল্পে তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর ভূমি জরিপ ও রেকর্ড ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার মাধ্যমে ত্রুটিমুক্ত আধুনিক ভূমি রেকর্ড প্রস্তুত করার কাজ ভেঙে পড়েছে। এ কারণে সারা দেশে ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে উপজেলা ও জেলায় হয়রানি বেড়েছে। লাখ লাখ সাধারণ মানুষ প্রতিদিন ভূমি অফিসে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অনেকেই বিআরএস জরিপের বিরুদ্ধে মামলা করেও মিলছে না রেহাই।
এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ইনকিলাবকে বলেন, অনেকগুলো সমস্যা আছে, যেমন জরিপ নিয়ে সমস্যা। যেটা আমার জন্য পেইনফুল হয়ে গেছে। যে জায়গায় যায় জরিপ, সেই জায়গায় লোক হয় কোটিপতি। অবস্থা এমন হয়েছে। জরিপের লোকরা রুথলেস। স্যরি, রুথলেসের চেয়ে আর খারাপ ওয়ার্ড ইউজ করতে চাইনি। পাশে যদি আরেকটি খারাপ শব্দ ব্যবহার করতে পারতাম, তাহলে ভালো লাগত। কিন্তু আমি পারছি না। তিনি বলেন, আইনটি হলে সরকারি জমি দখলদাররা যত ক্ষমতাবান হোক না কেন, জমি পুনরুদ্ধার সহজ হবে।
এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, আমরা ভূমি জরিপকে ডিজিটাল করার জন্য নতুন একটি প্রকল্প নিয়েছি। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছে। প্রথমে ২টি জেলার ৬টি মৌজায় শুরু করা হবে। জেলা দুটি হলো বরগুনা ও পটুযাখালী। ধীরে ধীর সব জেলায় ডিজিটাল জরিপ করা হবে।
সচিব বলেন, ‘ভূমি ব্যবহার আইন, ২০২১’-এর খসড়া প্রণয়নে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ সহ খাস জমি, ভূমি মালিকানার প্রমাণক, সিকস্তি এবং পয়স্থি, চা বাগান, ভূমি অধিগ্রহণ, জমির শ্রেণিবিন্যাস, সায়রাত মহালসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিদ্যমান আইন, নীতি ও বিধানের প্রভাব ও ভূমিকার ব্যাপারেও তাদের মতামত ব্যক্ত করেন ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। ভ‚মি সচিব সবার মতামত গ্রহণ করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভূমি জরিপ ও রেকর্ড অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. তসলিমুল ইসলাম এনডিসি ইনকিলাবকে বলেন, মেন্যুয়াল জরিপ যেস জেলায় হয়েছে সেগুলো বেশি ভুল হয়েছে। আর মাঠ পর্যায়ের অদক্ষ কর্মকর্তাদের কারণে এগুলো হয়েছে। ১৯৬৫ সালে আর এস জরিপ শুরু হয়েছে। সেটি এখনো অনেক জেলায় শেষ হয়নি। যেসব জেলায় শেষ হয়েছে সেগুলোর জরিপ প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, যেসব মৌজার জরিপ ডিসি ও সহকারী ভূমি কমিশনারদের হাতে ক্ষমতা রয়েছে সংশোধনের তারা যদি সংশোধন না করে তখন আদালতে ল্যান্ড সার্ভের মামলা করতে হবে। এটা জন্য মানুষের কষ্ট হচ্ছে আমরা জানি। সে জন্য নতুন করে ডিজিটাল জরিপ করা হবে। এ ছাড়া রেকর্ড সংশোধনের জন্য কয়েকদিনের মধ্যে একটি গেজেট প্রকাশ করা হবে। সেখানে ডিসি ও সহকারী কমিশনারের সংশোধনের ক্ষমতা দেয়া থাকবে।
ঢাকা জজকোর্টের দেওয়ানি মামলায় অভিজ্ঞ আইনজীবী মিজানুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, যখন জরিপগুলো হয়, তখন অনেক এলাকার মানুষগুলো কর্মকর্তাদের কাছে যায় না। সে সুযোগে সেটেলমেন্টর অদক্ষ কর্মকর্তারা একজনের জমি অন্যজননের নামে দিয়ে থাকে। আবার অনেক জেলায় সরকারি কর্মকর্তারা সুযোগ বুঝে সরকারি জমি তাদের নামে রেকর্ড করে নিয়েছেন। এখন যে সমস্যা বড় হয়েছে। যে জেলা বিআরএস জরিপের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে সে গুলো অনেক ভুলেভরা। ডিসি ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেগুলো সংশোধন করে দিচ্ছেন না। সারারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। আবার অনেক জেলায় ল্যান্ডসার্ভে মামলা করা হয়েছে। সেগুলো বছরের বছর চলে আসছে। সরকারের উচিত হবে- যেসব জমিগুলোর মালিক কৃষকরা তাদের জটির সংক্রান্ত জটিলতার সংশোধন সহজ করা প্রয়োজন।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ব্রিটিশ সরকার এদেশে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করার পর জমিদারগণ ভ‚মির মালিক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। তারা প্রজাচাষির ভালো-মন্দ, সুখ-দুঃখ, সুযোগ-সুবিধার দিকে মোটেও তাকাত না। ফলে কৃষকের অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকে। অনেকে কৃষিকর্ম ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যেতে থাকে। ফলে কৃষিজমি অনাবাদি থাকার উপক্রম হয়। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে কৃষক বিদ্রোহ দেখা দেয়। ইত্যাকার কারণে ইংরেজদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটে এবং কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় এ আইন প্রণয়নের চিন্তা করে। সম্রাট আকবরের আমলে ভূমি জরিপ কাজ শেষ হবার পরে ১৭৮৭ সালে মি. লিন্ডসে সিলেট অঞ্চলে জরিপ করেন এবং খাজনা পুনঃনির্ধারণ করেন। ১৮৮৫ সালে বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন জারিকালে সিলেট তার অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তাই সিলেট জেলা সিএস জরিপ কার্যক্রমের আওতাভুক্ত হয়নি। জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন জারি হওয়ার আগে প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৩৬ এর ১১৭ধারা মোতাবেক ৭ জুন ১৯৫০ সালের আরএস ৩৬১৫নং বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সিলেট জেলায় প্রথমবারের মতো ক্যাডাস্ট্রাল (সিএস) জরিপের মাধ্যমে রেকর্ড প্রণয়ন শুরু হয়। ১৯৫৬ সালে আরএস ৪৫১১নং বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ জরিপ কার্যক্রমকে ১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের অধীনে এসএ জরিপ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে সিলেট জেলায় এসএ জরিপটি ছিল, একটি নিয়মিত ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ।
ভ‚মি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ৫৯ হাজার ৯শ’ দাগের খতিয়ান। ১৯৯৯ সালে সরকারের ৩৪ লাখ একর খাস জমি ছিল। বর্তমানে তা বাড়িয়ে প্রায় ৪২ লাখ একর খাস জমি হয়েছে। ৮ লাখ একর জমি সরকারি হিসেবে বেড়েছে। প্রচলিত গ্যান্টার চেইন বা ফিতার মাপের পরিবর্তে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভ‚মির ডাটা সংগ্রহ করা। সংগৃহিত ডাটা ব্যবহার করে মৌজা নকশা এবং খতিয়ান প্রস্তুত করা। একই সঙ্গে খতিয়ান ও নকশার ডাটাবেজ তৈরি করে অনলাইনে মানুষের ভূমি রেকর্ডের তথ্য পাওয়ার অবারিত সুযোগ সৃষ্টি করা। সংশোধিত জরিপ করার সময় এগুলোর কোনোটি করা হয়নি। জোনাল সেটেলমেন্ট এবং দিয়ারা সেটেলমেন্ট এর আওতায় বর্তমানে সারা দেশে ডিজিটাল জরিপ কার্যক্রম চালু করেছে সরকার। জেলাগুলো হচ্ছে- ঢাকা, যশোর, ফরিদপুর, খুলনা, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, সিলেট, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, নোয়াখালী, রাজশাহী, পাবনা, ময়মনসিংহ ও জামালপুরসহ ১৬টি জোনে জরিপ কাজ চলমান এবং দিয়ারা মেটেলমেন্ট অপারেশন। ঢাকার এর মধ্যে সিকিস্তি ও পয়স্থি ভূমির ডিজিটাল পদ্ধতিতে জরিপ হচ্ছে। চট্টগ্রাম পটুয়াখালী ও কুষ্টিয়াতে ডিজিটাল জরিপ করা হবে। বিলুপ্ত ছিটমহলের ৩৪টি মৌজায় মাঠ পর্যায়ের জরিপ কাজ শেষে রেকর্ড প্রকাশ করা হবে। এছাড়া ২০১৭ সাল থেকে মাঠকাজ করেছে ৪৪টি মৌজার, মোট খতিয়ান ৪৩০১০টি, তসদিক ১০২টি, এর খতিয়ান ১৩ ৪২৮০, আপত্তি পেয়েছে ৪৯৭টি, ২৩৬৩০০ খতিয়ানের। আপিল ৯৩২টি এবং ১০১৮০৬টি ক্ষতিয়ানে। চূড়ান্ত পর্চা ১০৫৩টি এর খতিয়ান ১১৮২৪১৭। মুদ্রণ ২০৬৮ এর খতিয়ান ১০১০৫০১। চূড়ান্ত প্রকাশনা ২০৩৬ এবং খতিয়ান ১৬৪৮৪৫১। গেজেট প্রস্তাব ১৮৩৮ এবং ক্ষতিয়ান ১৩৫৭৮৮১ এবং হস্তান্তর করেছে ২৭৬১ এবং ক্ষতিয়ান ১৪৯৮৩২১। সার্ভেয়ারদের নজিরবিহীন স্বেচ্ছাচারিতার কারণে অনেক জেলায় ব্যক্তি মালিকানা জমি খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আবার কোনো কোনো জেলায় সরকার খাস জমি ব্যক্তি মালিকায় যুক্ত হয়েছে। এ সুযোগে কাজে নিয়ে উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ের ভূমি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি বেড়েছে। প্রতিনিয়ত জমির মালিকদের ওপর হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশের ৬৪ জেলার প্রায় দেড় কোটি মানুষের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্মকর্তারাও শিকার হচ্ছেন। এদিকে ভ‚মি অফিসে সেবা নিতে গিয়ে হয়রানি বা দুর্নীতির শিকার হয়েছেন- এমন ব্যক্তিদের নিয়ে সাম্প্রতিক বছর গণশুনানি করেছে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের শুনানিতে এমন তথ্য ফুটে তোলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সিএস ও আরএসের যুগ শেষ হতে চলেছে। বর্তমানে চলছে বিআরএস এবং মহানগরীতে চলছে সিটি জরিপ। সারা দেশে ৫৯ হাজার ৯ শত দাগের খতিয়ান রয়েছে। এর মধ্যে ১১ জোনের মধ্যে ১৯টি জেলায় বিআরএস জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। ভূমি রেকর্ড সংশোধনে সার্ভেয়ারদের ঘুষ না দেয়ার কারণে সারা দেশের লাখ লাখ মানুষের পৈত্রিক জমি এখন সরকারের খাস খতিয়ানে ভুক্ত হয়েছে। আবার অনেকর জমি পরিমাণ কম থাকলে ও তা জরিপে বেশি দেখা হয়েছে। বিআরএস জরিপে ভুল হওয়ার কারণে লাখ লাখ মানুষকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাদের কাছে নানা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। জড়াতে হচ্ছে দেওয়ানি মামলায়। এছাড়া অনেক ব্যক্তিগত মালিকের জামিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের বাড়ি তৈরি করে দিয়েছে প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এ নিয়ে বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলায় আদালতে মামলাও করা হয়েছে। জোনাল সেটেলমেন্ট ল্যান্ড মৌজাভিত্তিক ভূমির নকশা ও ভূমির মালিকানা সম্পর্কিত খতিয়ান বা ভূমি রেকর্ড প্রস্তুত কার্যক্রমকে ভূমি জরিপ বলা হয়। জমির গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর জরিপ বিভাগ নকশা ও রেকর্ড সংশোধনের জন্য কোনো আবেদন গ্রহণ করতে পারে না। জমি সম্পর্কিত জ্ঞান আহরণ কিংবা জমি ক্রয়-বিক্রয়, মামলা-মোকদ্দমা পরিচালনার ক্ষেত্রে খতিয়ান বা পর্চার ধারণা এদেশের মানুষের নিত্যদিনের আবশ্যকীয় বিষয়। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ভূমির খতিয়ান বা পর্চার ধারণা বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। জমিজমাকে কেন্দ্র করে যে কোনো সময় দেখা দিতে পারে বিরোধ। বিরোধ থেকেই দায়ের হচ্ছে সিংহভাগ দেওয়ানি মোকদ্দমা। দেওয়ানি মামলা থেকে উৎপত্তি হচ্ছে অনেক ফৌজদারি মামলাও।
দেওয়ানি মামলায় হয়রানির কথা উল্লেখ করে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার দক্ষিণ দলদলিয়া মৌজার জমির কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন, ১৯৬২ সালের আমাদের জমি সরকারি খাস খতিয়ানের দেখানো হয়। তখন আমরা মামলা করি। সে মামলা ১৯৯৪ সালে আদালতের রায় পেয়েছি। সেই রায়ের কাগজ হাতে পেয়েছি ১৯৯৮ সালে। তখনেই ভূমি অফিসে খাজনা পরিশোধ করা হয়। ২০১৪ সালে বিএসআর জরিপের গেজেট প্রকাশ হওয়ার পরে এখন খাজনা বন্ধ রয়েছে।
সাবেক ভূমি সচিব মো. মাসছুদুর রহমান পাটোয়ারি জমি খাস ক্ষতিয়ানে চলে গেছে। তিনি বলেন, আমরা কেউ বাড়িতে থাকি না সে কারণে হয়েছে। এখন আর কি করা যাবে, মামলা করতে হবে।
এদিকে খুলনার পাকপাড়ার সাবেক কৃষি কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান ইনকিলাবকে জানান, তার বাবার ৮০ শতাংশ জমি সরকারি খাস ক্ষতিয়ানে চলে গেছে। ডিসিও সহকারী কমিশনাররা সংশোধন না করে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার দক্ষিণ দলদলিয়া মৌজার জমির কৃষক হাফিজুর রহমান জানান, ১৯৬২ সালের আমাদের জমি সরকারি খাস ক্ষতিয়ানের দেখানো হয়। তখন আমরা মামলা করি। সে মামলা ১৯৯৪ সালে আদালতের রায় পেয়েছি। সেই রায়ের কাগজ হাতে পেয়েছি ১৯৯৮ সালে। তখনেই ভূমি অফিসে খাজনা পরিশোধ করা হয়। ২০১৪ সালে বিএসআর জরিপের গেজেট প্রকাশ হওয়ার পরে এখন খাজনা বন্ধ রয়েছে।
এদিকে বিএস জরিপে ভুল থাকার সুযোগে অনেক জেলায় ব্যক্তিগত জমিতে সরকারি বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। এস জেলাগুলো হচ্ছে- কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুর, রংপুর, কাউনিয়া, গাইবান্ধার পলাশবাড়ি, বগুড়া জেলার আদমদিঘী, শেরপুরসহ বিভিন্ন উপজেলায়। এসব উপজেলার জমির মালিকরা আদালতে মামলা করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।