পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, হেফাজতের গ্রেফতার হওয়া নেতারা মুখ খুলতে শুরু করেছেন এবং তারা ইতোমধ্যেই স্বীকার করেছে, কোথায় কখন কার বাসায় বৈঠক হয়েছে, কারা অর্থায়ন করেছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের বাসভবন থেকে অনলাইনে মন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় নিজের পক্ষ থেকে দুই হাজার স্বল্পআয়ের মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ উদ্বোধনের পর এবিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন ভারতের ইকনোমিক টাইমস ও বাংলাদেশের কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসেছে, ২৬ থেকে ২৮ মার্চ সারা দেশে হেফাজতের ব্যানারে যে তান্ডব চালানো হয়েছে, সেখানে বিএনপি-জামাত সক্রিয় অংশ নিয়েছে, অর্থ যোগান দিয়েছে এবং পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা সাহায্য করেছে। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে ২৬ থেকে ২৮ মার্চ যেভাবে সারা দেশে তান্ডব চালিয়ে নিরীহ মানুষের ঘরবাড়ি-সহায়-সম্পত্তি, যানবাহন জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে, ভূমি অফিসে আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষের জমির দলিলপত্র পোড়ানো, ফায়ার-রেল-পুলিশ স্টেশনে হামলা হয়েছে, ঐতিহ্য-পুরাকীর্তি ধ্বংস করা এমনকি ভিন্নধর্মের উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে, এটি নিছক বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘একটি বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সরকার পতনের উদ্দেশ্যে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং তাতে বিএনপি ও জামাত পুরোপুরিভাবে সহায়তা ও অর্থ দিয়েছে এবং পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা থেকেও অর্থায়ন পেয়েছে। সুতরাং এই নৈরাজ্যে যারা জড়িত ছিল এবং যারা সহযোগিতা করেছে, তাদের কোনোভাবেই ছাড় নয়। এর আগে অনলাইনে রাঙ্গুনিয়ায় দরিদ্রদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ উদ্বোধনে বক্তব্যদানকালে তথ্যমন্ত্রী করোনাকালে দিনমজুর, মাঝি, রিকশা-ভ্যানচালকসহ খেটে-খাওয়া নিম্নবিত্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে তার এলাকার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। একইসাথে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশানুসারে তাদেরকে কৃষকদের ধানকাটায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
ড. হাছান মাহমুদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশন থেকে রাঙ্গুনিয়ার পোমরা, হোছনাবাদ, মরিয়মনগর, চন্দ্রঘোনা ও পৌরসভা এলাকার দুই হাজার পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দেয়ার এ আয়োজনে রাঙ্গুনিয়া প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের পরিচালক খালেদ মাহমুদ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম সম্পাদক ও রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম তালুকদার, এনএনকে ফাউন্ডেশনের আবদুর রউফ মাস্টার, জসিম উদ্দিন তালুকদার, এমরুল করিম রাশেদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু প্রমুখ। করোনাকালে এই সাহায্যদান অব্যাহত থাকবে বলে জানান মন্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।