পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলমান দ্বিতীয় দফার ‘কঠোর লকডাউনে’র মধ্যেই আগামী ২৫ এপ্রিল রোববার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল খোলার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। ফেসবুকে বিষয়টি পোস্ট করে অনেকেই বিরূপ মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ লকডাউনের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। আবার কেউ কেউ ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের পক্ষেও মত দিয়েছেন। তবে দোকানপাট খোলার ঘোষণা দিলেও গণপরিবহন চালুর নির্দেশনা না দেয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকেই।
আজ শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২৫ এপ্রিল থেকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকান ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে। ব্যাপক সংখ্যক মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয় বিবেচনা করে এই নির্দেশনা জারি করা হলো বলে উল্লেখ করা হয় প্রজ্ঞাপনে।
এনিয়ে ফেসবুকে মমিনুল হক লিখেছেন, ‘‘শপিং মল খোলার সিদ্ধান্তের পরে চলমান কঠোর লকডাউন এর কোন বাস্তব কার্যকারিতা থাকে না।
গণপরিবহণ বন্ধ! শপিং মল খোলা ! সামঞ্জস্য রেখে এখনি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। না হয় জীবন জীবিকা দুটিই যাবে।’’
মুহাম্মাদ আমিনুর রশিদ অ্যাডভোকেট লিখেছেন, ‘‘না খোলে উপায় আছে, আশা করা যায় এই সপ্তাহে লকডাউন নামের তামাশাও উঠে যাবে, করোনার সংখ্যাও কমে যাবে। করোনা অপেক্ষায় থাকবে আরও কোন আন্দোলনের, প্রতিবাদের। তখন আবার করোনা আসবে, লকডাউন দেয়া হবে। দেশের মানুষ সরকারকে আর বিশ্বাস করেনা।’’
মিজাবে রহমত হামিদীর মন্তব্য, ‘‘করোনা বাড়ে শুধু গরীব রিকশা চালালে, দিনমজুর কাজে গেলে, আর মসজিদ - মাদ্রাসায় গেলে..! মার্কেটে কেমনে করোনা যায়..!’’
আশিকুর রহমান দাবি জানিয়েছেন, ‘‘সরকারের প্রতি আহ্বান সরকার যে কোনভাবেই হোক সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে মাক্স পড়ার জন্য। মাস্ক এর বিকল্প নাই । প্রয়োজনে চিকন জালি বেত দিয়ে প্রহার করতে হবে। অন্যথায় এই ধস ঠেকানো কঠিন হয়ে যাবে জাতিকে চরম মূল্য দিতে হবে।’’
গণপরিবহন চালুর নির্দেশনা না দেয়ায় জাদিদ হোসাইন লিখেছেন, ‘‘সবকিছু খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ রাখার কারণে মানুষের চরম ভোগান্তি পেতে হচ্ছে। অন্যদিকে পরিবহন মালিক শ্রমিক অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। তাই পরিবহন সচল করা হোক..।’’
তবে ইতিবাচক মন্তব্য করে রাশেদুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘ব্যবসায়ীদের আর্থিক বিষয়টাও তো দেখতে হবে। সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে। আর যাদের সম্ভব হবে তাঁরা লকডাউন পালন করে ঘরে থাকবে।’’
জুবাইর আহমেদ চৌধুরীর প্রশ্ন, ‘‘লকডাউন কি আছে কি নাই বুঝলাম না। তাহলে ২৫ তারিখ থেকে কি movement পাস কি লাগবে, কি লাগবে না বুঝলাম না। কেউ কি বুঝিয়ে বলবেন।’’
মোঃ একরামুল হক লিখেছেন, ‘‘সামনে ঈদ শ্রমজীবী মানুষের ইনকাম নাই। লকডাউনের কারণে এখন শপিং মল খুলে দিলে বৌ বাচ্চাদের কি দিয়ে বোঝাবে। তাই আগামী ঈদ পর্যন্ত শপিং মল বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।’’
মেহেদী হাসান সুমনের পরামর্শ ‘‘এভাবে আরো জনসমাগম বেশি হবে মার্কেটে কারণ সীমিত সময়ের ভিতরে সবাইকে মার্কেট করতে যেতে হবে তাই দুপুর ১২ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত হলে সবচেয়ে ভালো হতো।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।