পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জের সরকারী তোলারাম বিশ^বিদ্যালয়ের ২য় বর্ষের ছাত্র সাকিব হোসেন। তিন মাস আগেও যে ছিল সুস্থ সবল এক কিশোর। যার ভেতরে ছিল কৈশোরের দুরন্তপনা। চলতে ফিরতে আর কথা বলতে পারত অত্যন্ত সাবলীলভাবে। কোন জড়তা ছিলনা। সেই সাকিবের মুখে আজ কোন রা শব্দ নেই। নেই সেই দুরন্তপনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের ডি ব্লকের ১৩ তলার নিউরোলজি বিভাগের ৬ নং বেডে শুয়ে অজানা বিপদ আশংকায় এখন প্রহর গুণছে সে। নারায়ণগঞ্জে এক ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় বাক ও স্মৃতি শক্তি হারিয়েছে ১৭ বছরের এই কিশোর। কিছু জিজ্ঞেস করলে ফ্যাল ফ্যাল করে শুধু তাকিয়ে থাকে। কোন জবাব দিতে পারে না। ৩ জুলাই নাকে অপারেশনের পর থেকে তার এই করুণ দশা বলে জানান সাকিবের পরিবার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ভুল ট্রিটমেন্টের কারণে কিশোর বয়সেই সাকিবের ব্রেন ক্ষয়ে বৃদ্ধের মত হয়ে গেছে। কথা বলার শক্তিও হারিয়েছে সে। ভুল চিকিৎসার শিকার সাকিব নারায়ণগঞ্জের বন্দরের চৌরাপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। আনোয়ার হোসেন একজন স্বল্পবেতনভুক টেক্সটাইল মিল শ্রমিক বলে জানা গেছে। দরিদ্র হয়েও ছেলের চিকিৎসায় এ যাবত ব্যয় করেছেন লক্ষাধিক টাকা। কিন্তু সন্তানের রোগ নিরাময়ের কোন লক্ষণ না দেখে ভেঙ্গে পড়েছেন তিনি।
সাকিবের বাবা আনোয়ার হোসেন জানান, প্রায় তিন মাস আগে সাকিবের সর্দি জ¦র হয়। তিনি সাকিবকে মেডিপ্লাস ক্লিনিকের ডাক্তার এস এম ইয়ারই মাহবুবের কাছে নিয়ে যান। তিনি পরীক্ষা নিরীক্ষার পর নাকের সমস্যার কথা জানিয়ে অপারেশনের পরামর্শ দেন। তার পরামর্শে গত ১ জুলাই ছেলে সাকিব হোসেনকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নাক কান বিশেষজ্ঞ ডা. ডি জি এম আকাইদুজ্জামানের শরণাপন্ন হন। আকাইদুজ্জামান সাকিবকে দেখে কয়েকটি টেস্ট (পরীক্ষা) দেন। টেস্টের পর সাকিবের নাকের মাংস বেড়েছে বলে জানান তিনি।
মেডিস্টার নামে একটি ক্লিনিকে ভর্তি এবং সেখানে নাকের অপারেশনের পরামর্শ দেন তিনি। ৩ জুলাই মেডিস্টার ক্লিনিকে সাকিবকে ভর্তি করা হয়। এরপর আকাইদুজ্জামানের নিজেই নাকের অপারেশন করেন। অপারেশনের পর তড়িঘড়ি করে সাকিবকে রিলিজ দিয়ে দেন। বাড়ি নিয়ে আসার পর শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে সাকিবকে আবারও আকাইদুজ্জামানের কাছে নেয়া হয়। তিনি ভিটামিনসহ কিছু ওষুধ দেন । ১০ দিন পর নাকের ব্যান্ডেজ খুলে দেয়া হয়। এরপর পর থেকেই কথা বলা বন্ধ হয়ে যায় সাকিবের। দিনে দিনে মানসিক ভারসাম্য হারাতে শুরু করে সে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।