Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শুল্কায়ন শেষ হবে

পচনশীল পণ্য

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ১২:১০ এএম

পচনশীল পণ্য দ্রুত খালাস না হওয়ায় পণ্য আমদানি বা রফতানির ক্ষেত্রে নানা সমস্যায় পড়েন ব্যবসায়ীরা। বিষয়টি নিরসনে পচনশীল পণ্য দ্রুত খালাস করতে পচনশীল পণ্য দ্রুত খালাস ও নিস্পত্তিকরণ বিধিমালা-২০২১ নামে নতুন বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করেছে এনবিআর। ফুল, ফল, ওষুধ থেকে শুরু করে পান, কাঁচা চামড়া পর্যন্ত ৬৪ ধরনের পচনশীল পণ্য চিহ্নিত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এসব পণ্য আমদানি বা রফতানির ক্ষেত্রে এই দ্রুত খালাসের সুযোগ পাবে ব্যবসায়ীরা। নতুন বিধিমালায় এ সংক্রান্ত নির্দেশনা রয়েছে।

জানা গেছে, বিএসটিআই থেকে শুরু করে সরকারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুমতি নিয়ে পণ্য খালাস করতে হয়। এতে অনেক সময় দেরি হয়, অনেক ক্ষেত্রে অনুমতির পরও নানা জঠিলতার কারণে দিনের পর দিন বন্দরে পচনশীল পণ্য জমে থাকে। এতে করে আমদানিকারকরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হন, তেমনি রাজস্ব বঞ্চিত হয় সরকার। আর এসব কারণেই পচনশীল পণ্য দ্রুত খালাস করতে নতুন বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করেছে রাজস্ব বোর্ড।

খসড়া বিধিমালায় দ্রুত পণ্য খালাসের বিষয়ে বলা হয়েছে, পচনশীল পণ্য দ্রুত খালাস করতে প্রতিটি কাস্টমস হাউস আলাদা করে অনধিক পাঁচ সদস্যের একটি গ্রুপ গঠন করতে হবে। এই কর্মকর্তারা পচনশীল পণ্য খালাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন। তারা চাইলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট কাস্টমস হাউসের কমিশনারের অনুমতিক্রমে নির্ধারিত অফিস টাইমের বাইরে গিয়েও পণ্য খালাস করতে পারবেন। এ ছাড়া এই পণ্য চালান সম্পর্কে কোনো বিশেষ সংবাদ বা আমদানি নিষিদ্ধ বা মিথ্যা ঘোষণা না থাকলে, সর্বোপরি সবকিছু নিয়ম অনুযায়ী ঠিক থাকলে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পচনশীল পণ্যের শুল্কায়ন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।

পচনশীল পণ্যের চালান আরো দ্রুত খালাস করার ব্যাপারে বিধিমালায় আরো বলা হয়েছে, কোনো আমদানিকারক বা রফতানিকারক চাইলে কোনো সিস্টেমে ২৪ ঘণ্টাই বিল অব অ্যান্ট্রি সাবমিট করতে পারবেন।

নতুন তৈরি করা বিধিমালায় আরো বলা হয়েছে, আগে এই সংক্রান্ত যত আইন রয়েছে এই বিধিমালা কার্যকর হওয়ার পর রহিত হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে এই বিধিমালার আলোকে পচনশীল পণ্য আমদানি-রফতানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। কোনো আমদানিকারক যদি নির্ধারিত সময় পণ্য খালাস না করেন, সেক্ষেত্রে একজন উপকমিশনার পদ মর্যাদার কর্মকর্তা নিলাম বা ধ্বংস করার বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন।
এই বিধিমালার আওতায় ৬৪ ধরণের পণ্যের তালিকা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কমিশনার চাইলে কোনো পণ্য খালাস না করে পণ্যের মান অথবা ক্ষতি হবে বিবেচনায় নিলে তিনি পচনশীল পণ্যের তালিকায় খালাস করার অনুমতি দিতে পারবেন।

বিধিমালায় বলা হয়, কায়িক পরীক্ষা বা নন ইন্ট্রুসিড ইনশপেকশনের জন্য নির্বাচিত পণ্য চালান সমুহের ক্ষেত্রে মান, পরিমাণ বা অন্যান্য জিজ্ঞাসা থাকলে ইনশপেকশন অ্যাক্ট নামক অংশে লিপিবদ্ধ করে সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রেরণ করবে। এ ছাড়া পরিবীক্ষণের ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠাতে হবে। তবে সংশ্লিষ্ট কমিশনারের অনুমতি সাপেক্ষে এই সময় বাড়ানো যেতে পারে বলেও খসড়ায় বিধিনালায় বলা হয়েছে।

এ ছাড়া জব্দকৃত পণ্য বা আটকতৃত যেমন- চিনি, লবণ ইত্যাদির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অথরিটি ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সঙ্গে সমন্বয় করে মূল্য নির্ধারণ পূর্বক বিক্রয় বা হস্তান্তর করা যাবে। আর সংশ্লিষ্ট কাস্টম হাউসের কমিশনার বিষয়টি সমন্বয় করবেন বলেও বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ