পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিস্ফোরণের পর গতকাল সকাল থেকে একের পর এক আহতদের নিয়ে আসা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। সময় বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে আহতদের সংখ্যা। বাড়তে থাকে নিহতের সংখ্যাও।
আহত এবং নিহতদের স্বজনদের কান্নায় সেখানের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। গতকাল মোট ২৫ জনকে আহত অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত এদের মধ্যে ৫ জন মারা যান। বাকী ২০ জনের মধ্যে ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অন্য ৬ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
ঢামেকে নিহত হলেন যারা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর মারা গেছেন ৫ জন। এরা হলেন- ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার পারাডাঙ্গা গ্রামের রনি মিয়ার পুত্র আশিক (১২)। নিহতের চাচা আনিসুর রহমান আশিকের লাশ শনাক্ত করেন। নিহত আশিক ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। ২ ভাই, ২ বোনের মধ্যে সে ছোট। হাসপাতালে আনার পর পরই মারা গেছেন সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের ওয়াজেদ উদ্দিনের পুত্র ওয়াহিদুজ্জামান (৩৪)। তিনি ওই কারখানার অপারেটর ছিলেন। নিহতের ভাই সেলিম ওয়াহিদুজ্জামানের লাশ শনাক্ত করেন। তিনি ২ কন্যা সন্তানের জনক। প্রায় একই সময় মারা গেছেন হবিগঞ্জ জেলার আদমপুর চুনারুঘাটের হাবিবুর রহমানের কন্যা তাহমিনা আক্তার (২০)। তিনি ঘটনাস্থলের পাশের ভবনের পাকিজা শাড়ির কারখানায় কাজ করতেন। পাকিজার ম্যানেজার মারুফ বেল্লাল তাহমিনাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ঢাকার দক্ষিণ বাড্ডার জিপি-ক হোল্ডিংস্থ ওয়াজেদ আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪০)। তিনি ওই কারখানার মেশিন ইনচার্জ ছিলেন। এছাড়া সর্বশেষ মারা যান একই কারখানার সিকিউরিটি ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন (৫০)। তার গ্রামের বাড়ি শেরপুর জেলার শ্রীবতির পেকাঘরে। নিহতের ভাগ্নে ফোরকান লাশ শনাক্ত করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এরা সবাই মারা গেছেন আঘাতজনিত কারণে। এদের মধ্যে কেউ দগ্ধ হয়নি।
ঢামেকে চিকিৎসাধীন যারা
ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, কামরুল ইসলাম (২৭), জাকির হোসেন (৪৫), মিজু মিয়া (২৫), জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০), ফেরদৌস (৩৬), শাহীন আহমেদ (৩০), শিপন (৩০), মনোয়ার হোসেন (৩৭)। এরা সবাই ভবন ধসে আহত হয়েছেন।
এছাড়া অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন রিপন দাস (২৮), তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। দিলিপ দাস (৪০) ৮ শতাংশ, রাসেল (২৬) ১০ শতাংশ এবং শাহ আলমের শরীরের ৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
ঢামেকে মোট ২৪ লাশ
ঢাকা মেডিকেলে আনার পর মারা গেছেন ৫ জন। এছাড়া ঘটনাস্থলে এবং স্থানীয় হাসপাতালে মারা গেছেন আরো কয়েকজন। সেখান থেকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৯টি লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে একই ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢামেক মর্গে মোট ২৪টি লাশ রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আজ (রোববার) এসব লাশ দাফনের জন্য স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।