পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর উত্তরায় ১০ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর রোডের বালুরমাঠ বস্তিতে ভয়াবহ আগুনে দেড় শতাধিক পরিবারের সহায়সম্বল পুড়ে গেছে। সর্বস্বান্ত পরিবারের সদস্যরা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।
ফায়ার সার্ভিসের উত্তরা স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ হানিফ ইনকিলাবকে বলেন, গতকাল দুপুর ১২ টা ২ মিনিটে আমরা আগুনের খবর পাই। ফায়ার সার্ভিসের উত্তরা এবং টঙ্গী স্টেশন মিলে ছয়টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ছিলাম। পরে দুপুর দেড়টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এছাড়া দুপুর ২টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। আগুনে প্রায় দেড়শত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের বড় সাফল্য যে এখানে কোন ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আমরা চতুর্মুখী প্রচেষ্টায় আশপাশের পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি আগুন থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, বিশাল আগুনের কুন্ডলি পুরো বস্তি এলাকায় ছেয়ে গেছে। প্রাণ ও জানমাল রক্ষায় এলাকার লোকজন ছুটোছুটি করছে। আশপাশ থেকে লোকজন আগুন নেভাতে ছুটে এসেছেন। বস্তিতে ২০০ থেকে ২৫০টির মতো ছোট ছোট ঘর রয়েছে। এদিকে, বস্তির বাসিন্দারা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করেছেন। আর শত শত মানুষ সর্বশান্ত হয়ে এখন পোড়া ঘরবাড়ি, আসবাবপত্রের দিকে তাকিয়ে কান্নাকাটি করছেন। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই পোড়া ধ্বংসস্ত‚পের মধ্যে জিনিসপত্র খুঁজতে দেখা গেছে। পোড়া টিনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র সরিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। বস্তির বাসিন্দা শিল্পী বেগম বলেন, মাত্র এক মাস আগে অনেক কষ্ট করে একটি ফ্রিজ কিনেছিলাম। অনেক দিনের শখ পূরণ করতেই মাসের পর মাস টাকা জমিয়ে ফ্রিজটি কিনেছিলাম। সর্বনাশা আগুন মুহ‚র্তে সব শেষ করে দিলো।
শিল্পী বেগম বলেন, অনেক কষ্ট করে খেয়ে না খেয়ে ৩২ হাজার টাকা জমিয়ে ফ্রিজটা কিনেছিলাম। কিস্তিতে কেনার কারণে এখনো টাকা পুরোপুরি শোধ করতে পারিনি। টাকা শোধ হওয়ার আগেই ফ্রিজ শেষ হয়ে গেলো।
তিনি বলেন, শুধু ফ্রিজ না গত দুই দিন আগে এক বস্তা চাল কিনেছিলাম, আরও অনেক বাজার সদাই ছিলো, কাপড় ও কিছু টাকা ছিলো। আগুনে সবকিছু পুড়ে গেলো। সকালে অফিসে যাওয়ার আগে সবকিছু ভালো রেখে গেলাম আর এসে দেখি সব কয়লা। আমাদের মতো গরিবদের কেন এতো কষ্ট।
শিল্পী বেগম আরো বলেন, গার্মেন্টসে চাকরি করি। করোনার কারণে বেতন ঠিকভাবে পাব কি না তাও জানা নেই। সামনে ঈদ। ভেবেছিলাম কিছু টাকা পয়সা নিয়ে বাড়ি যাবো। এমন সময় আগুনে আমার সব শেষ করে দিয়ে গেলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।