পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টেলিকম অপারেটরদের প্রতি বিটিআরসির নির্দেশ
স্টাফ রিপোর্টার : এনটিটিএন (ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক) লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হতে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ নেওয়ার জন্য টেলিকম অপারেটরগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)। একইসাথে অবৈধভাবে ট্রান্সমিশন ব্যবসা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাফোনের কাছ থেকে কোনো ধরনের সেবা গ্রহণ না করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত ৩১ আগস্ট বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশন্স বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক শারমিন সুলতানা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে-বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, ডাক বিভাগ, বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড, রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক, এডিএন টেলিকম, অগ্নি সিস্টেমস, আমরা টেকনোলজিস, আম্বার আইটি, বাংলাদেশ অনলাইন, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল), বিডি হাব, বিডি লিংক কমিউনিকেশন্স, বিজয় অনলাইন, ঢাকা কম, র্যাংকস্ টেলিকম, এসআইটিএ (সিটা) এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেড। বিটিআরসির ওই চিঠিতে বলা হয়, বাংলাফোনের অনুকূলে ইস্যুকৃত অপাটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন সংশ্লিষ্ট পারমিটের মেয়াদ বৃদ্ধি/নবায়ন করা হয়নি। তাই এই প্রতিষ্ঠানটি হতে অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সেবা গ্রহণের আর সুযোগ নেই। চিঠিতে আরও বলা হয়, আপনার প্রতিষ্ঠানকে অনতিবিলম্বে অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সেবা কমিশন হতে এনটিটিএন লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হতে গ্রহণের জন্য বলা হলো। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কমিশনের কাছে এসব প্রতিষ্ঠানকে এনটিটিএন সেবা গ্রহণের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতেও বলা হয়েছে।
বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, বাংলাফোন লিমিটেডের অনুকূলে ইস্যূকৃত পারমিটের মেয়াদ গতবছর ২২ এপ্রিল উত্তীর্ণ হওয়ায় পরবর্তীতে পারমিটের মেয়াদ বৃদ্ধি/নবায়ন করা হয়নি। তাছাড়া বাংলাফোনের কোনো এনটিটিএন লাইসেন্স নেই। এনটিটিএন লাইসেন্স সংশ্লিষ্ট গাইড লাইনের বিধান অনুযায়ী অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন এবং এ সংক্রান্ত সেবা শুধু কমিশন হতে এনটিটিএন লাইসেন্সপ্রাপ্ত অপারেটরগণ প্রদান করতে পারে। কমিশন হতে ইতোমধ্যে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল), বাংলাদেশ রেলওয়ে, ফাইবার এট হোম এবং সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেডকে লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে।
টেলিযোগাযোগের অবকাঠামোগত কাজে শৃঙ্খলা আনতে সরকার ২০০৯ সালে দুটি প্রতিষ্ঠানকে এনটিটিএন লাইসেন্স দেয়। নীতিমালা অনুসারে এই লাইসেন্স ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক তৈরি, রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন বা পরিচালনা করতে পারবে না। লাইসেন্স পেতে প্রতি প্রতিষ্ঠানকে এককালীন তিন কোটি টাকা এবং প্রতিবছর নবায়নের জন্য ২৫ লাখ টাকা দিতে হয়েছে। এ সব শর্তে লাইসেন্স নেয় ফাইবার এট হোম ও সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠান। অথচ লাইসেন্স ছাড়াই কেবল বিটিআরসির ‘অনুমতি’ নিয়ে লাইসেন্স নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মতোই কার্যক্রম চালিয়ে যায় বাংলাফোন। বাংলাফোনের অনুকূলে ২০০৯ সালে ইস্যু করা অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক ট্রান্সমিশন ‘অনুমতি’ ছয় দফায় নবায়ন করে বিটিআরসি। গত বছর ২২ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাফোনের এই সেবা দেওয়ার সুযোগ ছিল। টেলিযোগাযোগ আইনের ৪০ ধারা অনুসারে কোনো প্রতিষ্ঠান টেলিযোগাযোগ কার্যক্রম শুরু বা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বিটিআরসি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেবে। কিন্তু বিটিআরসি বাংলাফোনের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেয়নি। লাইসেন্স পাওয়া দুই প্রতিষ্ঠান বাংলাফোনের এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করাসহ প্রতিকার চেয়ে মন্ত্রণালয়কে চিঠিও দেয়। মন্ত্রণালয় চিঠিতে বিটিআরসির এ কাজ বিধিসম্মত হয়নি উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু তারপরও বাংলাফোনের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান এবং কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কমিশন বরং প্রতিবারই প্রতিষ্ঠানটির অবৈধ অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক ট্রান্সমিশন সেবা বন্ধের জন্য চিঠি দিয়েই দায় সারছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।