পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সব্যসাচী লেখক ও কবি সৈয়দ শামসুল হককে দেখতে যান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী বিকাল সোয়া ৪টায় হাসপাতালে গিয়েছিলেন এবং সেখানে ফুসফুসের ক্যান্সারে চিকিৎসাধীন কবির পাশে প্রায় ৪০ মিনিট অবস্থান করেন।
ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সময় একপর্যায়ে কবি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
শেখ হাসিনা কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কবির চিকিৎসার বিষয়ে কথা বলেন এবং কবির আশু রোগমুক্তি কামনা করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে কবির সহধর্মিনী কথাশিল্পী ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হক, পুত্র দ্বিতীয় সৈয়দ হক এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি মাহবুবুল হক শাকিল উপস্থিত ছিলেন।
লন্ডনের রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালে চার মাস চিকিৎসার পর গত ২ সেপ্টেম্বর সৈয়দ শামসুল হক দেশে ফেরেন। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে তিনি লন্ডনে যান এবং সেখানে পরীক্ষায় তার ক্যান্সার ধরা পড়ে।
প্রসঙ্গত, বাংলা সাহিত্যে অসাধারণ অবদান রাখার জন্য ৮০ বছর বয়সি এই কবি ও লেখক ১৯৬৬ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ১৯৮৪ সালে একুশে পদক এবং ২০০০ সালে স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।
সৈয়দ শামসুল হকের সাহিত্যিক প্রতিভা কালোত্তীর্ণ। গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস, কবিতা, নাটক, কাব্যনাট্য, চলচ্চিত্রসহ বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিনি অবদান রেখেছেন। তার লেখা বেশ কয়েকটি বহুল পরিচিত নাটক বালাদেশের মঞ্চ নাটকের ইতিহাসে মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।