পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি অবিচল আপসহীন নেত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তার কাছ থেকে স্বার্থ আদায় করতে না পেরে দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারীরা আবারও ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্র আবারো পুনরুদ্ধার হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
১১ সেপ্টেম্বর (আজ) সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নবম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। একই সাথে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন মির্জা ফখরুল।
বিবৃতিতে ফখরুল ইসলাম বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কতিপয় কুচক্রীর হাতে নির্মমভাবে শহীদ হওয়ার পর ষড়যন্ত্রকারীরা জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণের কেড়ে নেওয়া অধিকার পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্যে শহীদ জিয়ার জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের রাজনীতির পতাকাকে উড্ডীন করে খালেদা জিয়া রাজনৈতিক মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন।
সেই থেকে খালেদা জিয়া দেশের সব অগণতান্ত্রিক দেশবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে অবিরাম লড়াই অব্যাহত রেখেছেন। এর ফলে জনগণ তাকে আপসহীন নেত্রীর মর্যাদা দিয়েছে।
জাতীয় স্বার্থরক্ষার প্রশ্নে বেগম খালেদা জিয়ার অবিচল সংগ্রামকে কোনো শক্তিই পরাভূত করতে পারেনি উল্লেখ করে বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ নয় বছরের স্বৈরাচারবিরোধী নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলন করে তিনি দেশে সাংবিধানিক গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নিরলস পরিশ্রম করে তার শাসনামলে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত করেন।
তিনি বলেন, ১১ জানুয়ারি ২০০৭ সালে সংবিধানবহির্ভূত পন্থায় ক্ষমতা দখলকারীরা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য আবারও নতুন খেলায় মেতে উঠেছিল। এরই অংশ হিসেবে ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর তৎকালীন সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেফতার করে। মাইনাস টু তত্ত্বসহ নানাবিধ অপকৌশল অবলম্বন করে ও অপপ্রচার চালিয়ে খালেদা জিয়াকে তার প্রিয় স্বদেশ ও জনগণের কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন ও আস্থা এবং দেশ ও জনগণের প্রতি বেগম খালেদা জিয়ার দৃঢ় কমিটমেন্টে ষড়যন্ত্রকারীদের সকল কূটকৌশল ব্যর্থ হয়ে যায় এবং এক বছর পরে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে এবং জনগণের অধিকারের প্রশ্নে রাজনৈতিক সংগ্রামে শামিল হতে পেরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সর্বাঙ্গীণ সাফল্যও কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।