পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাহফুজুল হক আনার : দরকার নেই অন্য কোন দেশের গরু। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পর এবার গরুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চলেছে বাংলাদেশ। যার প্রমাণ মিলেছে এবারের কোরবানির বাজারে। সীমান্তবর্তী দিনাজপুর জেলার কোরবানির বাজার দেশীয় গরুতে জমজমাট হয়ে উঠেছে। সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে গরু ব্যবসায়ীদের নিহত হওয়ার ঘটনা এবং কঠোর নজরদারীর কারণে এবার ভারত থেকে গরু না আসার কারণে দাম বৃদ্ধির পাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু গত দু’দিনে দিনাজপুরে দেশীয় গরুর দামে ক্রেতারা সন্তুষ্ট মনে কোরবানির গরু কিনে বাড়ি ফিরেছে।
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ৭০ ভাগ এলাকা সীমান্ত সংলগ্ন। এই উপজেলার সর্ববৃহৎ হাট জাবোর হাট। গরুতে সয়লাব। বরাবরের মত হাটের জন্য নির্ধারিত মাঠে জায়গা না হওয়ায় বিক্রেতারা গরু নিয়ে ধান ক্ষেতে দাঁড়িয়ে গেছে। এই হাটে সাদৃশ্য সুঠাম দেশীয় আড়িয়া জাতের গরু বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকায়। যার মাংশ আশা করা হয়েছে ১শ’ কেজি। ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকায় ৩শ’ কেজি মাংশ পাওয়া যাবে এমন আড়িয়া গরু অনেক। গরু’র তুলনায় ক্রেতা কম। গতকাল শহর সংলগ্ন খোসালডাঙ্গি বাজারের একই দৃশ্য। মূলত শহরের মধ্যবিত্ত ও ধনাঢ্য মানুষদের কাছে প্রিয় হাট হিসাবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এই হাটে প্রায় একই দামে গরু কেনা বেচা হয়েছে। হাটগুলি ঘুরে দেখা গেল ৯৯ শতাংশ গরুই দেশীয়। আর এসব গরু লালন করেছে এদেশের সাধারণ কৃষকেরা। একজন কৃষকের সাথে আলাপ করে জানা গেল, গ্রামের প্রতিটি ঘরে গরু লালন-পালন করা হচ্ছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে। একটি গাই-বাছুর ক্রয় পালন করলে দুধ পাওয়া যায়। চল্লিশ টাকা কেজি দরে সেই দুধ বিক্রি করে গরুর খাওয়ার পাশাপাশি সংসারের খরচ যোগানো যায়। এই গাই থেকে বাছুর পাওয়া যায়। যা কিনা ব্যবসার বোনাস। তার কথার ভিত্তিতে হাটের পার্শ্বেই মুকলিশপুর গ্রাম ঘুরতে গেলাম। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য গরু থাকে ঘরে। গৃহকর্তা থাকে খোলা বারান্দায়। তার কারণ চুরির ভয়। বিষয়টি জানতে চাইলে গৃহকত্রী বিলকিস বানু জানালো গরু দেখা শুনা সেই করে। স্বামী বাহিরে কাজ করে। একটি গরু থেকে প্রতিবছর কোরবানিতে একটি করে বিক্রি করছে সে গত তিন বছর যাবত। এ অবস্থা গ্রামের প্রতিটি কৃষক পরিবারে। তাদের আর ইন্ডিয়ান গরুর দরকার নাই। আমাদের দেশীয় গরুই আমরা খেয়ে শেষ করতে পারবো না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।