পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সোহাগ খান : দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে নিয়োজিত মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর আর্থিক সক্ষমতা ৫০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ কোটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সম্প্রতি সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির কার্যপরিধি সংশোধন করে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ক্ষমতা দ্বিগুণ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অনুমোদন করেছেন বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব ইনকিলাবকে বলেন, মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানোর ফলে সরকারি কাজে গতি বাড়বে। বর্তমানে মন্ত্রণালয় বা বিভাগগুলো উন্নয়ন বাজেটের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ কোটি টাকার কেনাকাটার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এর জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন নিতে হয় না। কিন্তু ৫০ কোটি টাকার বেশি কেনাকাটা করতে হলেই ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তিনি বলেন, এই নীতিমালা পাস হলে মন্ত্রণালয় বা বিভাগগুলো সর্বোচ্চ ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত কেনাকাটার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তবে ১০০ কোটি টাকার বেশি হলে তা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে পাঠাতে হবে। একই সঙ্গে পরামর্শক সেবার ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ ৩০ কোটি টাকার সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নিতে পারবে। এর বেশি হলে তা অনুমোদনের জন্য ক্রয় কমিটির বৈঠকে পাঠাতে হবে।
মন্ত্রণালয়গুলোর ক্রয়ক্ষমতা দ্বিগুণ করার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে অর্থ বিভাগের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পর্যালোচনায় দেখা যায় সরকারের কর্মকা- একদিকে যেমন বেড়েছে, অপরদিকে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার, অন্তর্ভুক্ত প্রকল্প সংখ্যা এবং বৃহৎ প্রকল্পের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পের মধ্যে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত প্রাক্কলিত ব্যয় সংবলিত প্রকল্পের সংখ্যা ৪৫৪টি, ৫০ কোটি থেকে ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ২০৬টি এবং ১০০ কোটি টাকার ওপরে প্রাক্কলিত ব্যয় সংবলিত প্রকল্পের সংখ্যা ছিল ৬৫১টি। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আর্থিক ক্ষমতা প্রয়োগের বিভিন্ন স্তরে বর্তমানে যে পরিধি নির্ধারিত রয়েছে, তা পরিবর্তন জরুরি হয়ে পড়েছে।
এ ছাড়া পর্যালোচনায় আরো দেখা যায়, ২০১২-১৩ অর্থবছরে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি কর্তৃক ৮ হাজার ২৬ কোটি টাকার ক্রয় প্রস্তাব বিবেচনা করা হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬ হাজার ৬১ কোটি টাকা। অর্থাৎ, সরকারি কর্মকা-ের পরিধি প্রসারের পাশাপাশি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির কার্যক্রমের কলেবরও অনেক বেড়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, এসব বিষয় বিবেচনা করে উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, পরিদপ্তর, অধিদপ্তর, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রেরিত এককভাবে ১০০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে পাঠাতে হবে। এর নিচে হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
একই সঙ্গে উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে পরামর্শক সেবা ব্যয় ৩০ কোটি টাকার নিচে হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তবে এই ব্যয় ৩০ কোটি টাকার বেশি হলে তা অনুমোদনের জন্য ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির কাছে পাঠাতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।