পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
লকডাউনে টানা উত্থানে রয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসেও মূল্য সূচকের বড় উল্লম্ফন হয়েছে। এর মাধ্যমে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসেই মূল্য সূচক বাড়ল। মূল্য সূচকের টানা উত্থানের পাশপাশি লেনদেনেও ভালো গতি ছিল। গতকাল মাত্র আড়াই ঘণ্টার লেনদেনেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১২শ’ কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে। এর মাধ্যমে চার মাসের মধ্যে বাজারটিতে সর্বোচ্চ লেনদেন হলো।
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ায় গত ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এই কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শেয়ারবাজরে আড়াই ঘণ্টা লেনদেন চলছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে প্রথম লেনদেন হয়। ওই দিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক বাড়ে ৫১ পয়েন্ট। দ্বিতীয় কার্যদিবস রোববার সূচকটি বাড়ে ২১ পয়েন্ট এবং তৃতীয় কার্যদিবস সোমবার বাড়ে ১৮ পয়েন্ট। আর বিধিনিষেধের মধ্যে চতুর্থ কার্যদিবস মঙ্গলবার মূল্য সূচকের রীতিমত উল্লম্ফন হয়েছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪২১ পয়েন্টে উঠে এসেছে। এর মাধ্যমে কঠোর বিধিনিষেধের চার কার্যদিবসে ডিএসই প্রধান সূচক বাড়ল ১৬১ পয়েন্ট।
প্রধান সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে ডিএসইর অপর দুই সূচক। এর মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৮২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্য সূচকের এই উত্থানে বড় ভ‚মিকা রেখেছে ব্যাংক খাত। তালিকাভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে ১৮টি দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬টির। আর সব খাত মিলিয়ে ১৯৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৮টির এবং ৬৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মূল্য সূচকের উত্থানের সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৯৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৬৯৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনেদেন বেড়েছে ৬০২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে চলতি বছরের ২৫ মার্চের পর ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হলো।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৪৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মার ৪৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- রবি, বিডি ফাইন্যান্স, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, লাফার্জহোলসিম বাাংলাদেশ, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২১৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৬টির এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।