পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। করোনা আক্রান্ত হলেও তাঁর শারীরিক অবস্থা এখনো স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। কখনো কখনো কিছুটা জ্বর আসলেও ফুসফুস, পালস, ব্লাড প্রেসার, রেসপিরেশন, অক্সিজেন সেচুরেশন ভালো আছে। তাই এখনই হাসপাতালে নেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন না তারা। তারপরও যে কোন জরুরি প্রয়োজনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে নিজে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও মানসিকভাবে অত্যন্ত শক্ত রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর সাথে বাসার আরও ৮জন আক্রান্ত হলেও দু’জন বাড়িতে গেছেন ফিরোজায় রয়েছেন বাকী ৬ জন। বেগম জিয়া নিজের চিকিৎসার পাশাপাশি নিয়মিত তাদেরও খোঁজ-খবর রাখছেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। আর চিকিৎসকরা সাক্ষাত শেষে জানিয়েছেন, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই নেত্রী দলের নেতাকর্মীসহ সারাদেশের মানুষকে নিয়ে উদ্বিগ্ন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে তিনি সকলকেই মাস্ক পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার রাতে ফিরোজায় খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাত করে এসে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এফএম সিদ্দিকী বলেন, মানসিকভাবে উনি খুবই স্ট্রং। টেলিভিশনে অনেককে দেখে উনি আমাকে বলছিলেন, যারা সিনিয়র নেতা-কর্মী উনারাই তো মাস্ক পড়ে না, মাস্ক গলায় ঝুলিয়ে উনারা কথা বলেন। এটা কেমন কথা! করোনা সংক্রমণ এড়াতে তিনি দলের নেতাকর্মীসহ সারাদেশের মানুষকে অবশ্যই যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং মাস্ক পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
শারীরিক অবস্থার বিষয়ে ডা. সিদ্দিকী বলেন, শনিবার বেগম খালেদা জিয়ার জ্বর ১০০.২ ডিগ্রি এসেছিল; তবে এখনই হাসপাতালে নেয়ার প্রয়োজন নেই। উনার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
তাহলে কি কোনো উন্নতি আছে বলে মনে করছেন’- প্রশ্ন করা হলে এফএম সিদ্দিকী বলেন, ধরেন আমি যে ম্যাডামের সন্ধ্যায় একটু জ্বর আসার কথা বললাম, সেটা যদি আমরা আগের দিনের সাথে তুলনা করি শনিবার সারা দিন জ্বর আসেনি, সন্ধ্যার পরে এসছে। তো ভাইরাস জ্বর আসতেই পারে। সেই হিসেবে একটা দিকে মনে হচ্ছে যে ই¤প্রুভমেন্ট আছে। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে এই সময়গুলোকে শুধু একটা প্যারামিটারের ই¤প্রুভমেন্ট দিয়েই কিন্তু সব কিছু মূল্যায়ন করা যাবে না। সব পসেবেলিটির ক্ষেত্রেই আমাদেরকে নজরদারিতে রাখতে হবে।। আমরা কোনো জ্বর কমে গেছে, ভালো হয়ে যাচ্ছে- এরকম ঢিলেঢালা ভাব নিচ্ছি না। আমরা খুব মেডিকেল স্কিল বা পেশাদারিত্বে নিয়েই আমরা উনাকে দেখছি।
তিনি বলেন, শনিবার সারাদিন জ্বর আসেনি, সন্ধ্যার পর কিছুটা জ্বর এসছে-সেটা ১০০.২ ডিগ্রি। আমরা যে নতুন এন্টি ভাইরাল ঔষধটা শুরু করেছি সেটা তৃতীয় দিন। অলরেডি উনি দুটো ডোজ পেয়েছে। মনে হচ্ছে যে, সেটার রেনপন্স ভালো, পজেটিভ রেসেপন্স পাচ্ছি বলে মনে হচ্ছে।
চিকিৎসক দলের প্রধান বলেন, আমরা উনার পালস, বøাড প্রেসার, রেসপিরেশন এগুলো চেক করেছি-এগুলো ভালো আছে। সেচুরেশনটা সবসময়ই উনার ৯৭/৯৮। মনে রাখতে হবে যে, শনিবার হলো উনার নাইন ডে। আমরা সেকেন্ড উইকের জটিল সময়টা পার করছি। এর মধ্যে যাতে কখনো কোনো রকমের যদি জটিলতার লক্ষণ বা কোনো বিপদ সংকেত পাই সেটা তাৎক্ষণিক সেই অবস্থায় আমরা ব্যবস্থা নেবো। এখন পর্যন্ত আলহামদুলিল্লাহ সব কিছু মনে হচ্ছে যে, ঠিক ঠিক মতোই হচ্ছে।
শনিবার রাতে সাড়ে ৯টার পর চিকিৎসক টিমের সদস্যরা ‘ফিরোজায়’ প্রবেশ করেন। বেরিয়ে আসেন রাত সাড়ে ১০টায়। এফএম সিদ্দিকীর সাথে আরো ছিলেন অধ্যাপক আব্দুস শাকুর খান, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।