পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাহে রমজান মাসে শ্রমিকদের রক্তে সরকারের হাত রঞ্জিত। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে শ্রমিকদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হতাহতের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। নিহত শ্রমিক পরিবারগুলোকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। শ্রমিক মেহনতি মানুষের অধিকার খর্ব করে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সম্প্রতি চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের গুলি করে হত্যার তীব্র প্রতিবাদ, বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গতকাল পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন : চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ৮ ঘণ্টা কাজ ও বকেয়া পাওনাসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ অহিংস অবস্থান কর্মসূচিতে দুস্কৃতিকারী কর্তৃক হঠাৎ করে গাড়িতে আগুন দিয়ে শ্রমিকদের উপর গুলি বর্ষণ করে ৫ জন শ্রমিক হত্যার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনসহ দ্রুত বিচারের মাধ্যমে অপরাধীদের ফাঁসি দেয়ার দাবি জানিয়েছে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন।
ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ আশরাফ আলী আকন ও সেক্রেটারী জেনারেল হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান গতকাল এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, শ্রমিকরা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ৮ ঘন্টা কাজ করা ও পাওনা পরিশোধের দাবিতে অবস্থান করায় তাদের উপর গুলি বর্ষণের ঘটনা প্রমাণ করে এদেশে ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দাবি করাও অপরাধ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, যে ৫ জন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করা হলো তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন নেতৃবৃন্দ বলেন, মাহে রমজান ও এপ্রিল মাস এই শ্রমিকদের রক্তে সরকারের হাত রঞ্জিত। এরা শ্রমিক বান্ধব সরকার নয়। এ সরকার লুটেরা ও শ্রমিক নির্যাতনকারী বান্ধব সরকার। সরকার যদি ৫ শ্রমিক হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় না আনে তবে শ্রমিক জনতা বিচারের দাবিতে মাঠে নামতে বাধ্য হবে।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলন : চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনে গুলিবর্ষণ করে ৫ জন রোজাদার শ্রমিককে হত্যার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মোস্তফা তারেকুল হাসান বলেন, সরকারের পুলিশ বাহিনী গুলি করে ৫ জন শ্রমিককে শহীদ করেছে এবং অনেক শ্রমিককে আহত করেছে; যা মানবতার চরম লংঘন। তিনি আরো বলেন, রমজান মাস রহমতের মাস, নাজাতের মাস, এই মাসে ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে এই ধরনের জঘন্য হত্যাকান্ড রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বলে মনে করি। নির্বিচারে পাখির মতো গুলি করে শ্রমিক হত্যা করতে হবে, যা পুলিশী রাষ্ট্রের দৃষ্টান্ত বহন করে। এই নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের নিন্দা করার কোন ভাষা আমাদের জানা নেই। অনতিবিলম্বে গুলি বর্ষণকারী ঐ সমস্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন। আর শাহাদাতবরণকারী শ্রমিকদের পরিবারকে উপযুক্ত আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করুন এবং যারা আহত হয়েছে তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।
শ্রমিক মজলিস : শ্রমিক মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাজী নূর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবুল কালাম এক যুক্ত বিবৃতিতে চট্টগ্রাম বাঁশখালী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত শ্রমিকদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৫ জন শ্রমিককে হত্যা করেছে ও আরো শতাধিক শ্রমিককে আহত করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা অবিলম্বে শ্রমিক হত্যার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রতিনিধি নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন, শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ, নিহত ও আহত শ্রমিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান, হত্যার বিচারের দাবি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।