Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘তেলে শুল্ক কমানোর প্রভাব আগামী মাসে’

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন বলেছেন, তেলের উপর আরোপিত শুল্ক কমানোর প্রভাব বাজারে আগামী মাস থেকে বেশি পড়বে। গতকাল রাজধানীর শান্তিনগর বাজার মনিটরিং শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এরপর তিনি নিউমার্কেট কাঁচাবাজার, মোহাম্মদপুর টাউনহল এবং টিসিবির ট্রাক সেল কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

তেলের আমদানি শুল্ক কমানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য সচিব বলেন, তেলের উপর শুল্ক এই মাসে কমানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এটির প্রভাব মূলত ইনপুট করার পরের মাসে পাওয়া যায়। তারপরও এর প্রভাব তো বাজারে পড়বেই। ব্যবসায়ীরাও ভাবছে তেল ইম্পোর্টে দাম তো কমে গেছে, কাজেই প্রভাব ধীরে ধীরে পড়ছে। আগামী মাসে হয়তো বেশি পড়বে।

তেলের দাম কমানোর বিষয়ে ড. মো. জাফর উদ্দীন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে গত জুলাই মাসে তেলের টনের দাম ছিল ৭০০ ডলার, সেটা এখন হয়েছে ১৩০০ ডলার। প্রায় দ্বিগুণ দাম বেড়েছে। সে তুলনায় আমরা অভ্যন্তরীণ বাজারে তেলের দামটা কন্ট্রোল করেছি। টিসিবির কাছে তেলের মজুতও কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় ১২ গুণ বেশি। শুধু তেলই নয়; টিসিবি’র কাছে অন্যান্য বছরের তুলনায় ১২ গুণ বেশি পণ্য মজুত রয়েছে। ফলে সাধারণ ক্রেতাদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই, আমাদের পর্যাপ্ত মজুত আছে।

তিনি বলেন, আমরা তেলের দামের বিষয়টিতে খেয়াল রাখছি। তেলের দাম বাড়ার বিষয়ে আমাদের টিমকে বলেছি মার্কেট ইন্টেলিজেন্স স্টাডি করার জন্য। তারা দেখছে যে এটি কি কারসাজির জন্য হচ্ছে, নাকি নরমাল চাহিদা ও যোগানের কারণে হচ্ছে। এর সুফল শিগগিরই ভোক্তারা পাবেন।

ড. মো. জাফর উদ্দীন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সাধারণ মানুষ যেন কষ্ট না পায়। আমরা এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে রমজান উপলক্ষে তিন-চার মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছি। বিশেষ করে টিসিবির মাধ্যমে অন্যান্য বছরের তুলনায় প্রায় ১২ গুণ বেশি প্রস্তুতি রেখেছি। প্রতিটি পণ্যের আমাদের ১২ গুণ বেশি মজুত রয়েছে। সাধারণ যে মার্কেটটি টিসিবির বাইরে সেখানেও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখেছি, এলসি পরীক্ষা করেছি। যাতে ইম্পোর্ট বেশি থাকে এবং স্বাভাবিক সাপ্লাই থাকে, সেক্ষেত্রেও আমরা সাকসেসফুল।

বাণিজ্য সচিব বলেন, এবার আমাদের নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। আমরা মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাই, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। লকডাউনের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের কাজ করতে হবে। আজ মূলত বের হয়েছি টিসিবি, ভোক্তা অধিকার, জেলা প্রশাসনসহ যারা কাজ করছেন তাদের অনুপ্রাণিত করার জন্য। আমরা কেউ বসে নেই, সবাই একসঙ্গে কাজ করব। টিসিবি ভালোভাবে চলছে, ভোক্তা অধিকারের টিম মাঠে আছে এবং প্রশাসনের অনন্যান্যরাও মাঠে আছেন। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ আমাদের সঙ্গে ছিলেন, তাদের মোটিভেট করেছি রোজার মাসে স্বাভাবিক যে কেনাবেচা হয় লাভ সেটুকুই করবেন, এর বেশি করতে গেলে আমরা তাদের আইনের আওতায় আনব এবং শাস্তি দেব।

টিসিবির ট্রাক সংখ্যা বাড়ানো হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে ঢাকায় যে সংখ্যক ট্রাক ছিল তার চেয়ে এখন অনেক বেশি ট্রাক রয়েছে। এখন প্রায় ১৩০টি ট্রাক ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে, আর সারাদেশে ৫০০ এর বেশি টিসিবির ট্রাক নিত্যপণ্য বিক্রি করছে। প্রয়োজনে আমরা আরো ট্রাক বাড়াবো, আমাদের ডিলার ও ট্রাক দুটোই রেডি আছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টিসিবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ