বৈশাখী খরতাপের তেজ গতকাল আরও কিছুটা কমেছে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার দেশে সর্বোচ্চ ছিল যশোরে ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহীতে ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দু’দিন মঙ্গলবার ও বুধবার রাজশাহীতে পারদ উঠে ৩৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দু’দিনের ব্যবধানে রাজশাহীতে পারদ নেমেছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩৬.১৫ এবং সর্বনিম্ন ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ‘ইট-পাথর-লোহার বস্তিময়’ এবং ধুলোবালি ও ধোঁয়ায় দূষিত দেড় কোটি মানুষের আবাস রাজধানী ঢাকায় বাস্তব তাপানুভ‚তি (ফীল লাইক বা রীয়্যাল ফীল) ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রিরও ঊর্ধ্বে। এদিকে, গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে (১১ মি.মি.) নেত্রকোনা ও শ্রীমঙ্গলে হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে।

আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগ এবং যশোর, কুষ্টিয়া ও কুমিল্লা অঞ্চলের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুমারখালী অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু এলাকায় প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ দিক থেকে বাতাস ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে। যা অস্থায়ীভাবে দমকায় ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার হতে পারে।

পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরের ৫ দিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। এদিকে পশ্চিমা লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।