পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাভারের ক্লুলেস ফাতেমা বেগম (৬১) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব। এ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪। গত বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সাভার মডেল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্র্রেফতাররা হলো-নওগাঁ জেলার মো. রবিউল মির্জা (২৮) ও গাইবান্ধার কামরুল ইসলাম (১৮)। চুরি করার চেষ্টা করলে ভিকটিম বাধা দেয়ায় গত ৭ এপ্রিল ফাতেমা বেগমকে সাভারের বিরুলিয়ায় নিজ বাসায় অজ্ঞাতনামা আসামিরা হত্যা করে পালিয়ে যায়। গ্রেফতাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং হত্যার দায় স্বীকার করেন।
র্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (অপস) সহকারী পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান চৌধুরী জানান, গত ৯ এপ্রিল নিহতের ছেলে বাসায় এসে মাকে দেখতে না পেয়ে অনেক খোঁজার একপর্যায়ে বাথরুমের পাশে তার মায়ের পচা-গলিত লাশ দেখতে পান। পরে সাভার মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
চাঞ্চল্যকর মামলাটির মূল রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতারের লক্ষ্যে ছায়াতদন্ত শুরু করে র্যাব-৪। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাÐের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওই দুজনকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং হত্যার দায় স্বীকার করেন।
র্যাবের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ঘটনার দিন আসামিরা ভিকটিমের বাসার পাশেই আরেকটি বাসায় রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন। ভিকটিমকে গোসলখানায় যেতে দেখে আসামিরা বাসায় ঢুকে চুরি করার চেষ্টা করলে ভিকটিম বাধা দেন। এতে আসামিরা ভিকটিমকে বাথরুমেই হত্যা করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী রবিউল ভিকটিমের ঘর থেকে একটি কোদাল নিয়ে এসে ভিকটিমের হাতে, মুখে, ও গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে বাথরুমের পাশে ফেলে রাখেন। এ ঘটনায় যাতে কেউ সন্দেহ না করতে পারে সেজন্য তিনি পাশের বাসায় পূর্বের মতো রাজমিস্ত্রির কাজ করতে থাকেন। অন্যদিকে কামরুল হত্যাকান্ডের পর নিজ জেলা গাইবান্ধায় গিয়ে আত্মগোপন করেন। পরে তিনি ঢাকায় ফিরে এলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রবিউল নিহত নারীর বাসা নির্মাণের সময় রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করেছিলেন। সে সূত্রে তিনি ভিকটিমের পূর্ব পরিচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।