পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংবাদপত্র ছাপানোর প্রধান কাঁচামাল নিউজপ্রিন্ট কাগজের ওপর কর প্রত্যাহার চেয়েছেন সম্পাদকরা। একই সঙ্গে তারা সংবাদপত্র শিল্পে কর্পোরেট কর কমানোর প্রস্তাব বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় গতকাল অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম. মুস্তফা কামালের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে এসব প্রস্তাব দেন বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদকরা।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, বৈঠকে দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, আমাদের নতুন সময় পত্রিকার সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান ও চ্যানেল আইয়ের প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক শাইখ সিরাজ সংযুক্ত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিম প্রমুখ সংযুক্ত ছিলেন।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সম্পাদকরা ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। পাশাপাশি সামগ্রিক অর্থনীতি নিয়েও বিভিন্ন প্রস্তাব ও পরামর্শ দিয়েছেন। তারা নিউজপ্রিন্ট কাগজের ওপর কর প্রত্যাহার করা যায় কি না, সে বিষয়েও প্রস্তাব দিয়েছেন।
বৈঠকের আলোচনার বিষয় সম্পর্কে মুস্তফা কামাল বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষিতে ভর্তুকি আরও বাড়াতে বলেছেন চ্যানেল আই’র শাইখ সিরাজ। তিনি পোলট্রি শিল্পের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া কৃষিতে কাজ করতে আসা শিক্ষিত তরুণদের আগ্রহী করে তুলতে প্রণোদনা চালুর প্রস্তাব করেছেন তিনি। শহরকেন্দ্রিক ছাদকৃষিতেও প্রণোদনার কথা বলেছেন।
নিউজপ্রিন্ট পেপারের ওপর কর কমিয়ে দেয়ার জন্য বলেছেন নঈম নিজাম। নাঈমুল ইসলাম খান সংবাদপত্র শিল্পে কর্পোরেট ট্যাক্স কমাতে বলার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানোন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেছেন।
উন্নয়ন প্রকল্পে যেসব অপচয় হয়, তা বন্ধ করতে আরও সচেষ্ট হতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছেন কয়েকজন সম্পাদক।
এক প্রশ্নের উত্তরে ভবিষ্যতে খাদ্য সংকটের আশঙ্কার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, যেখানে হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন সরকার সেখানে হাতে দেবে, সহযোগিতা করবে। কৃষি আমাদের লাইফ লাইন। সব ধরনের কৃষিপণ্য উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। শিক্ষিত যারা কৃষিতে আসতে চায়, তাদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে। ম্যানুয়াল থেকে যারা আধুনিক কৃষিতে আসতে চায় তাদেরকে সহযোগিতা করব। কৃষিকে শক্তিশালী করার জন্য যা যা প্রয়োজন সরকার সব করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।