পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তম-এর স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহার ও জাতীয় জাদুঘরের গ্যালারি থেকে তা সরানোর ঘটনায় বিস্ময়, হতাশ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের ৩ শতাধিক শিক্ষক।
গতকাল এক বিবৃতিতে তারা বলেন, সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে আমরা বিস্মিত, হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। আমরা এ হীন ও ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। একই সাথে এই ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ আখ্যা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়- এ ধরনের ঘটনা দেশের ইতিহাসে খারাপ নজির হয়ে থাকবে।
সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে শিক্ষকেরা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সাথে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম অবিচ্ছেদ্য। তিনি জাতির ক্রান্তিলগ্নে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে কেবল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রই পাঠ করেননি জীবনবাজী রেখে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন, কমান্ডার হিসেবে ১১ নং সেক্টরে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মুক্তিবাহিনীর নিয়মিত সেনা ব্যাটালিয়নের তিনটি ব্রিগেড ফোর্সের একটির নাম জিয়ার নামের আদ্যাক্ষরে ‘জেড ফোর্স’ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছিল।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, স্বাধীনতা যুদ্ধে তার বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধুর সরকার তাকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘বীরউত্তম’ খেতাবে ভূষিত করেছেন। তিনি শুধু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না, স্বাধীন বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রেরও পুনঃপ্রবর্তক। তার স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই বহিঃপ্রকাশ বলে আমরা মনে করি।
এর দ্বারা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়ার অবদানকে খাটো এবং দেশের গণমানুষের মন থেকে জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা মুছে ফেলা যাবে না। দেশের বর্তমান সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে বিভেদের রাজনীতি না করে শহীদ জিয়ার স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান শিক্ষকগণ।
বিবৃতি দেয়া শিক্ষকদের অন্যতম হলেন- অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, অধ্যাপক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক ড. মো: আমিনুর রহমান মজুমদার, অধ্যাপক ড. মো: আখতার হোসেন খান, ড. মামুন আহমেদ, অধ্যাপক মো. মাহফুজুল হক, অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত, অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, ইসরাফিল প্রামাণিক, অধ্যাপক ড. আবদুল আজিজ, অধ্যাপক তাহমিনা আখতার, ড. শেখ নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক মো: আতাউর রহমান মিয়াজী, অধ্যাপক মো: মুজাহিদুল ইসলাম, ড. বোরহান উদ্দীন খান, ড. মুসলেহ উদ্দিন তারেক, ড. মো: আবদুর রব, অধ্যাপক ড. মো: আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, ড. মো: আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া, ড. মো: খলিলুর রহমান, ড. যুবাইর মোহাম্মদ এহসানুল হক প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।