Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে জিয়াউর রহমানের বিচার দাবি হাছান মাহমুদের

প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানের পক্ষে গুপ্তচর বৃত্তির দায়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বিচার করা উচিত। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতা পদক দেয়া ছিল একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। আওয়ামী লীগ তা প্রত্যাখ্যান করেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধুর সমপর্যায়ে দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়েছিল।
গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত চলমান রাজনীতিবিষয়ক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে গুপ্তচর বৃত্তির জন্য জিয়াউর রহমানের বিচারে সরকারের উচিত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের দল মুক্তিযোদ্ধাদের দল হতে পারে না। কারণ বিএনপি মুক্তিযোদ্ধার দল হলে স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতের সঙ্গে তাদের কোনো জোট হতো না।
হাছান বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু থেকেই বিচার প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তিনি জনমতের কাছে পরাজিত হয়ে নীরবতার পথ বেছে নিয়েছেন। কিন্তু জামায়াতকে জোটে যেমন রেখেছেন, তেমনি যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি মুক্তিযোদ্ধাদের দল নয়। বিএনপি পাকিস্তানের গুপ্তচর জিয়াউর রহমানের দল। আর এজন্য জিয়াউর রহমানের পাশাপাশি তার সহযোগীদেরও বিচার হওয়া উচিত।
স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারের প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, রাজধানীতে বিএনপির দু-একটি ছোট মিছিল বের হলেও দেশের কোথাও তাদের দেখা যাবে না। কারণ তারা জনবিচ্ছিন্ন।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মীর কাশেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করার বিরুদ্ধে আনীত নিন্দা প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, পাকিস্তান নিজের অখ-তা নিয়ে সংকটের মধ্যে রয়েছে। কারণ সেদেশের বেলুচিস্তান ও সিন্ধু প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন চলছে। আর ওই দেশটিতে অন্য কোনো ধর্মের লোক না থাকলেও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লেগেই আছে।
তিনি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা না বলে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় মনোযোগ দিন।
হাছান মাহমুদ সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে ঢাকায় সেদেশের দূতাবাসে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাক্ষাতের ভুল তথ্য উল্লেখ করে বলেন, দেশের সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী ভিজিটিং কার্ড প্রদর্শন করে দেখা করলেন। এভাবে সাক্ষাতের আর কোনো নজির কোথাও নেই। সাক্ষাতের সময় বিএনপি নেত্রী একটি মধ্যবতী নির্বাচনের দাবি জানালেও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছেন বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের এ নেতা।
সংগঠনের উপদেষ্টা চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর সাম্যবাদী দলের সভাপতি হারুণ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ইস্কান্দার মির্জা শামীম, কৃষকলীগ নেতা এমএ করিম ও বঙ্গবন্ধু একাডেমির মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে জিয়াউর রহমানের বিচার দাবি হাছান মাহমুদের
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ