পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোর ব্যুরো : দেশের বৃহত্তম বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে কৃষি যন্ত্রাংশ হিসেবে আমদানি করা কার্টন খুলতেই বেরিয়ে এলো আতরের বড় বড় বোতল। কৃষি যন্ত্রাংশের অপর কার্টনে পাওয়া গেলো, থ্রি-পিস, মোটরসাইকেল ও থ্রি হুইলার পার্টস। প্রায় ২৫ শতাংশ শুল্কের এই পণ্য আমদানি করা হয়েছে ১ শতাংশ শুল্কের কৃষিপণ্য হিসেবে। একইভাবে, ভারতীয় ব্যথানাশক ‘মুভ’ মলমসহ বেশকিছু ওষুধ আনা হয়েছে ‘ফেসওয়াশ’ ঘোষণা দিয়ে। এভাবেই মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আনা প্রায় ১৫ কোটি টাকার আমদানি পণ্য আটক করেছে যশোর বিজিবি। ৫টি কাভার্ড ভ্যান ভর্তি এই ভারতীয় পণ্য আটকের ব্যাপারে ২৬ বিজিবি হেডকোয়ার্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন ২৬ বিজিবি’র ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর লিয়াকত আলী। গত সোমবার যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের আমড়াখালি চেকপোস্ট থেকে এই পণ্য আটক করা হয়।
মেজর লিয়াকত আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোরের ২৬ বিজিবি ও চুয়াডাঙ্গার ৬ বিজিবি যৌথ অভিযান চালিয়ে এই ৫ কাভার্ড ভ্যান ভর্তি ভারতীয় পণ্য আটক করে। এই পণ্যের প্রায় পুরোটাই মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা। এর মধ্যে কৃষি পণ্য ঘোষণা দিয়ে আনা হয়েছে, আতর, থ্রি-পিস, মোটরসাইকেল ও থ্রি হুইলার পার্টস, ফেসওয়াশের ঘোষণা দিয়ে আনা হয়েছে ওষুধ সামগ্রী, থান কাপড়ের ঘোষণা দিয়ে আনা হয়েছে পিস কাপড়, প্লাস্টিক পণ্য দেখিয়ে আনা হয়েছে ইমিটেশন গহনা। এভাবে মিথ্যা ঘোষণার সাহায্যে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা হয়েছে প্রায় ৪০টির মত পণ্য আনা হয়েছে। মিথ্যা ঘোষণা অনুযায়ী এই পণ্যের শুল্ক দেয়া হয়েছে প্রায় ৪১ লাখ টাকার। অথচ এই পণ্যের শুল্ক হবে আনুমানিক দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রায় দেড় থেকে দুই কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দেয়া হয়েছে। এই পণ্যের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার কে আর এন্টারপ্রাইজ এবং সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট রিয়াঙ্কা এন্টারপ্রাইজ।
মেজর লিয়াকত আলী আরও জানান, শুল্ক ফাঁকি দেয়া এই পণ্য সিজার লিস্ট করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরপর আমদানিকারকরা প্রকৃত শুল্ক পরিশোধ করে তা নিয়ে যেতে পারবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।