পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেগম খালেদা জিয়া শুধু একটি রাজনৈতিক দলের নেতাই নন। তিনি দেশের লাখো-কোটি মানুষের প্রিয় ব্যক্তিত্ব। তিনি হাসলে কোটি মানুষের মুখে হাসি ফুটে, তাঁর ব্যথায়, দুঃখে অশ্রু ঝরে তাদের চোখে। রাজনৈতিক কর্মকান্ড, দেশ পরিচালনা, সামাজিক কর্মকান্ডে এবং নিজস্ব ব্যক্তিত্বের গুণে সারাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের মনে এই জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। গৃহবধূ থেকে রাজনীতিতে এসে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে অর্জন করেছেন আপোষহীন নেতার খেতাব, পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন গণতন্ত্র। যখনই দেশ, দেশের মানুষ সঙ্কটে পড়েছেন আপোষহীন নেতৃত্বে দাঁড়িয়েছেন সামনে। সেই জনপ্রিয় নেত্রী প্রাণঘাতি মরণব্যাধী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত রোববার তাঁর করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
দীর্ঘ দুই বছরের বেশি কারাবন্দী থাকার পর একবছরেরও বেশি সময় ধরে সরকারের নির্বাহী আদেশে কারামুক্ত হয়ে শর্তসাপেক্ষে গুলশানে তাঁর বাসভবন ফিরোজায় অবস্থান করছেন বিএনপি প্রধান। যেখানে নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের প্রবেশ নিষেধ। এতোটা বিচ্ছিন্ন থাকার পরও বেগম খালেদা জিয়া করোনা আক্রান্ত হওয়ায় একদিকে যেমন দলের নেতাকর্মীরা বিস্মিত হয়েছেন। তেমনি ৭৫বছর বয়স্ক নেত্রীকে নিয়ে আছেন ভয়ে। এজন্য তাঁর করোনা আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যম কিংবা সাধারণ মানুষের চায়ের আড্ডা সব জায়গায় ছিল বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়েই আলোচনা।
বিএনপির পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার কারোনা আক্রান্ত হওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফিড ভরে যায় তার সুস্থতা ও দোয়া কামনা করে দেয়া স্ট্যাটাসে। সাধারণ মানুষের আলোচনার মধ্যেও একে অপরের কাছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জন্য চেয়েছেন দোয়া।
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ওই রাতেই খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য অনেকে সেহরি করে রোযা রেখেছেন। আখতারুজ্জামান নামে এক বিএনপি নেতা জানান, বেগম খালেদা জিয়ার করোনা আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ পাওয়ার পর তার স্ত্রী, মা এবং মেয়ে সুস্থতার জন্য রোযা রেখেছেন। আমিনুল ইসলাম জানান, তার পরিবারেও তিনজন বেগম জিয়ার সুস্থতার জন্য রোযা রেখেছেন। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা বিএনপির নেতা মামুন বিন আব্দুল জানান, তিনি বেগম জিয়ার সুস্থতার জন্য রোযা রেখেছেন। তার উপজেলার অনেকেই প্রিয় নেত্রীর জন্য রোযা রেখেছেন। একইভাবে সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে অনেকেই রোযা রেখেছেন বলে জানা গেছে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ভালো আছেন : করোনায় আক্রান্ত খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘খুবই স্থিতিশীল, উনি যথেষ্ট ভালো আছেন’ বলে জানিয়েছে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের প্রধান অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী। গতকাল সোমবার বিকালে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ বিএনপি চেয়ারপারসনকে দেখে আসার পর মেডিকেল বোর্ডের প্রধান মেডিসিন ও বক্ষ ব্যাথি বিশেষজ্ঞ সাংবাদিকদের একথা জানান। তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত বলব যে, উনার (খালেদা জিয়া) অবস্থা খুবই স্থিতিশীল। আজকে পর্যন্ত উনি যথেষ্ট ভালো আছেন। উনি স্পিরিটেড আছেন। আমরা আশা করছি যে, যদি এভাবে আরো এক সপ্তাহ পার হওয়া যায় তাহলে ইনশাল্লাহ আমরা বিপদ থেকে মুক্ত হয়ে যাবো।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের সাথে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রয়েছেন। সবচেয়ে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ যে, ইউকেতে যে উনার ছেলে ও ছেলের ওয়াইফ ডা. জোবাইদা রহমান সে ঢাকা মেডিকেল কলেজে আমার স্টুডেন্ট ছিলো উনিও সব সময় মোটিভেট করছেন। আমরা একটা টিম ওয়ার্ক হিসেবে আলোচনা করে উনার (খালেদা জিয়া) চিকিৎসা করছি। কোথাও কোনো গ্যাপ বা কোথাও কোনো রকমের সন্দেহের কিছু অবকাশ নেই। ৭৫ বছর বয়েসী খালেদা জিয়ার স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কেমন জানতে চাইলে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, আলহামদুলিল্লাহ এখন পর্যন্ত যে, উনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো আছে বলে মনে হচ্ছে। খালেদা জিয়াকে কি হাসপাতালে নেয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা এরকম প্রশ্ন করা হলে চিকিৎসক টিমের প্রধান বলেন, আপনারা জানেন যে, কোভিডে আনসারটেনিটি আছে। পৃথিবীর কেউ বলতে পারবে না যে, করোনা প্রথম সপ্তাহে কেমন থাকবে, সেকেন্ড উইকে কি বিহেব করবে। কারো পক্ষে বলা সম্ভব না। সেজন্য আমাদের প্রস্তুতি আছে। আমরা যদি কখনো মনে করি, বিন্দুমাত্র আমাদের মনে হয় যে, তাকে হাসপাতালে নেয়া দরকার। আমরা সেই মুহুর্তে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিয়ে যাবো- সেই ধরনের প্রস্তুতি আমরা রেখেছি।
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়ে চিকিৎসক টিমের সদস্য বক্ষব্যাথি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আব্দুস শাকুর খান, ইউরোলোজিস্ট অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন ও ডা. মো. আল মামুন পাশে ছিলেন। আরো ছিলেন চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তা শাইরুল কবির খান।
খুব কাছ থেকে আমরা দেখেছি: ডা. এফএম সিদ্দিকী বলেন, আমরা তিন চার জন ছিলাম, উনি আমাদের সামনে এসে বসেছেন। আমি উনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দীর্ঘ বছর ধরে। এর আগেও উনাকে যতবার আমি যেভাবে এসে দেখেছি, সেভাবেই দেখেছি। উনি রেডি হয়ে আসেন, বসেন। আমরা সেভাবে যাই। আমাদের সামনে সামনাসামনি কথা বলেন। শুধূ তাই নয়, আমি উনার পালস অক্সিমিটার দিযে দেখেছি, চেস্ট অলকালটেক করে দেখেছি। যেভাবে যা যা দেখা দরকার সেভাবে দেখেছি। অর্থ্যাৎ আমাদের দেখা-পরীক্ষার কোনো কিছুর মধ্যে আমরা কোনো রকমের লিনেয়েন্সি সো করিনি। ভেরি প্রফেশনালি আমরা এটা হেন্ডেল করছি।
অন্যদেরও খোঁজ রাখছেন: ডা. সিদ্দিকী জানান, ম্যাডাম শুধু নিজেরই না, উনি অন্য যারা আক্রান্ত তারা ঔষধ খাচ্ছে কিনা সেটাও তদারক করছে।
খালেদা জিয়া দোয়া চেয়েছেন: এফএম সিদ্দিকী বলেন, উনি ভালো আছেন, স্পিরিটেড আছেন।উনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। উনি বলেছেন, সবাই যেন উনার জন্য দোয়া করেন। সবাই যেন সাবধানে থাকে, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে।
দেশে-বিদেশে দোয়া মাহফিল: সউদী আরবের মক্কায় পবিত্র কা’বা শরীফে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় গতকাল সোমবার দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও বেগম জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া মাহফিল করেছেন সেদেশের বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এদিকে দলের পক্ষ থেকে বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় সারাদেশেই দোয়া-মাহফিল করেছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয়ভাবে রোগমুক্তি কামনায় বিএনপির পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার বাদ যোহর নয়াপল্টন জামে মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল কালাম আজাদ, এমএ মালেক, এড. আব্দুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, তাইফুল ইসলাম টিপু, মনির হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, এড. রফিক শিকদার, হায়দার আলী খান লেলিন, ওমর ফারুক শাফিন, ওলামা দলের মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, নজরুল ইসলাম, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ। মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন পল্টন জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আমিনুল ইসলাম।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়েও খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এই দোয়া মাহফিলে ছিলেন তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, উলামা দলের মাওলানা আবদুল খালেক, মাওলানা মো. ইব্রাহিম, মাওলানা সোবহানসহ চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলায় ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা গোয়াতলা জামে মসজিদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন। এতে উপজেলা ছাত্রদল নেতা নুর আহমদ খান ফরিদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও মসল্লীগণ অংশ নেন।
বিকেল ৪টায় ঢাকেশ্বরী মিন্দরে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় প্রার্থনা করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত প্রার্থনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রতিমন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তী এবং হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট নেতা সুকৃতি মন্ডল, অমলেন্দু দাস, রমেশ দত্ত, তরুণ দে, মিল্টন বৈদ্য, জয়দেব জয়, সুবীর বর্ধণ, সঞ্জয় গুপ্ত, মিন্টু বসুসহ অন্যান্যরা যোগ দেন। অনুষ্ঠানে বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এবং সহ-বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু উপস্থিত ছিলেন। প্রার্থনা অনুষ্ঠানে হিন্দু ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার করোনামুক্ত সুস্থ জীবন কামনা করা হয়।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের সংবাদদাতারা জানিয়েছেন এ সংক্রান্ত তথ্য :
নোয়াখালী ব্যুরো জানায় : বিএনপি চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় নোয়াখালী জেলা বিএনপির উদ্যোগে দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সোমবার বিকালে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের বাসভবনে দেয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মো. শাহজাহান। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহমান। এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কমীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা জানান : সান্তাহারে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। সান্তাহার পৌর বিএনপির আয়োজনে গতকাল বিকেলে প্রথমে বাদ আছর স্থানীয় পোস্ট অফিস মসজিদে এবং বিকেল সাড়ে স্থানীয় বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মো. ফজলুল বারি তালুকদার বেলাল, সান্তাহার পৌর বিএনপির আহবায়ক মজিবর রহমান যুগ্ন আহবায়ক শেখ রফিক, সান্তাহার পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক মেয়র ফিরোজ মো. কামরুল হাসান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনসুর আলী, সাবেক সাধারন সম্পাদক পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু, যুবদল নেতা পৌর কাউন্সিলর ওয়াহেদ, বিএনপি নেতা মতিউর রহমান টিটু,ইকবাল হোসেন, নুরুল ইসলাম বাচ্চুসহ বিএনপি যুবদর ছাত্রদল, শ্রমিক দল সেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন অংঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গাবতলী (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা জানান : বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে গাবতলী উপজেলা-পৌর যুবদলের উদ্যোগে সোমবার বাদযোহর জয়ভোগা পূর্বপাড়া জামে মসজিদ ও স্থানীয় দাখিল মাদ্রাসা মাঠে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন গাবতলী থানা যুবদলের আহবায়ক আরিফুর রহমান মজনু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রুহুল হাসান রুহিন, পৌর যুবদলের আহবায়ক কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ হারুন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল লতিফ, যুবদল নেতা সোহাগ, মতি, সুলতান, ছাত্রদল নেতা এমআর হাসান পলাশ, মোহন ও মাসুদ প্রমূখ।
গলাচিপা (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান : সোমবার বিকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির কামনায় গলাচিপায় যুবদলের উদ্দ্যোগে কাজী জামে মসজিদে এক দোয়া ও মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি সিনিয়র সহ সভাপতি মো: সিদ্দিকুর রহমান, সাধারন সম্পাদক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন খান, যুবদলের আহবায়ক মশিউর রহমান শাহিন খন্দকার, য্গ্মু আহবায়ক আশিষ কুমার সাহা,মোস্তাফিজুর রহমান মঈন, জাহিদুল ইসলাম মিন্টু, ছাত্রদলের আহবায়ক তুর্জয় রুবেল সাব্বির হোসেন প্রমূখ। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান : ইন্দুরকানীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার আসর বাদ খেয়াঘাট জামে মসজিদে ইন্দুরকানী বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আ. লতিফ হাওলাদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফায়জুল কবির তালুকদার, বিএনপি নেতা মো. ফরিদ হোসেন, মো. আনোয়ার হোসেন, আলমগীর কবির মান্নু, মোস্তান হাফিজ, যুবদল নেতা খান মো. নাসির উদ্দিন, মো. শাহিদুল ইসলাম শহিদ, ছাত্রদল আহবায়ক আল আমিন হোসেন, সদস্য সচিব সাদিকুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা মো. রাকিব হোসেন, বরকত হোসেন মামুন হোসেন, মো. তাওহিদুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক নেতা মো. জুয়েল রানা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।