Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবায় করোনার প্রভাব

ব্র্যাক-বিইউএইচএস মূল্যায়ন সমীক্ষা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০ এএম

করোনা মহামারিকালে বাংলাদেশে অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবার পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি দ্রুত মূল্যায়নে দেখা গেছে, গর্ভবতী মা, প্রসূতি ও নবজাতক, বিভিন্ন রোগের টিকা প্রত্যাশী পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, জরুরি রোগী, জটিল রোগে ভুগতে থাকা ব্যক্তি, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা মহামারিকালে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে নাজুক অবস্থায় আছেন। এই পরিস্থিতির প্রতিকারের জন্য এবং করোনা পূর্ববর্তী স্বাস্থ্যখাতে অর্জিত সুফলগুলো ধরে রাখতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে বহুপাক্ষিক উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রতিবেদনটিতে সুপারিশ করা হয়েছে।

গতকাল ব্র্যাক আয়োজিত ওয়েবিনারে বাংলাদেশে অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবায় কোভিড-১৯’র প্রভাব: দ্রুত মূল্যায়ন’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল এবং সুপারিশ প্রকাশ করা হয়। ব্র্যাকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচি (এইচএনপিপি) এবং অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেঞ্জ বিভাগ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সেস (বিইউএইচএস) গবেষণাটি পরিচালনা করেছে।

২০২০ সালে এপ্রিল থেকে আগস্টের মধ্যে এই দ্রুত মূল্যায়ন পরিচালিত হয় দেশের আটটি বিভাগের ১৬ জেলায়। দৈবচয়নের মাধ্যমে ২ হাজার ৪৮৩টি খানাকে (যার পরিবারগুলোর গড় সদস্য ৪ দশমিক ৮৯) বেছে নেওয়া হয়। সমীক্ষায় দেখা গেছে, গবেষণা চলাকালীন গর্ভবতী নারী ছিলেন ১৬৭টি খানায়, এবং শুণ্য থেকে ২৮ দিন বয়সী শিশু ছিল ৪৯টি। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু ছিল ৭৯৪টি যা গবেষণাধীন মোট সদস্যের ৩২ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬০ দশমিক ৮ শতাংশ খানায় কিছুটা অসুস্থতা ছিল (কোভিড -১৯ বাদে) এবং ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ জানিয়েছেন যে তাঁদের চিকিৎসা খরচ বেশি হয়েছে। ১০ শতাংশ খানার অভিযোগ ছিল হাসপাতালগুলি থেকে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে তাঁদের অসুবিধা হয়েছে। দুই পঞ্চমাংশ খানা অভিযোগ করেছে সঠিক সেবার অভাবে তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) প্রফেসর মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্।

মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে যে শুধু করোনা রোগী বা অন্য রোগে আক্রান্ত রোগীরা সমস্যায় পড়েছেন তা নয়। বরং সরকারের অনেক সাফল্যজনক স্বাস্থ্য কর্মসূচিতে এবং রোগ প্রতিরোধ কর্মসূচিতেও এর প্রভাব পড়েছে।

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, করোনা মহামারির ঢেউ আগামী দুই বা আড়াই বছরের মধ্যে চলে যাচ্ছে না, সেদিকে মাথায় রেখে আমাদের কমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালি করা দরকার। ব্র্যাক প্রতিরোধ, সুরক্ষা এবং ভ্যাকসিন মোবিলাইজেশন নিয়ে কাজ করতে চায়।
গবেষণাটির ফলাফল উপস্থাপনা শেষে প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য রাখেন এইচএনপিপির সহযোগী পরিচালক ডা. মোর্শেদা চৌধুরী, বিইউএইচএস-এর ভিসি প্রফেসর ফরিদুল আলম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথ-এর সহযোগী ডিন প্রফেসর ডা. মালাবিকা সরকার, এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার তৌহিদুল ইসলাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্র্যাক-বিইউএইচএস
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ