পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গুলশানে ফিরোজায় বেগম খালেদা জিয়াসহ ৯ জনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। রোববার বিকালে বেগম খালেদা জিয়াকে দেখে আসার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে একথা জানান তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মো আল মামুন। তিনি বলেন, ম্যাডামসহ মোট ৯জন আক্রান্ত। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো উল্লেখ করে ডা. মো. আল মামুন বলেন, আল্লাহর রহমতে ম্যাডামের ফিজিক্যাল কন্ডিশন ভালো। করোনার কোনো উপগর্গ তার নেই। জ্বর, গলা ব্যাথা, কাশি, শ্বাস কষ্ট কোনো কিছু নাই। তাহলে কেনো টেস্ট প্রয়োজন পড়লো তা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, বলতে পারেন তাহলে কেনো টেস্ট প্রয়োজন পড়েছে। টেস্ট করা হয়েছে এজন্য যে বাসার একজন স্টাফের আরো ৫/৬ দিন আগে জ্বর জ্বর ভাব ছিলো। তখন তার টেস্ট করানো হয়। টেস্টের রেজাল্ট পজেটিভ আসে। পজেটিভ আসার পরে ওই স্টাফ যে রুমে থাকতো ওই রমে বাকীদেরও আমরা চেক করাই। তখন তাদেরও পজেটিভ আসে। পজেটিভ আসার পরে ম্যাডামের সেফটি পারপাসে ম্যাডামের টেস্ট গতকাল করানো হয়, এরপর পজেটিভ আসে সেই রেজাল্টও।
খালেদা জিয়ার গৃহকর্মী ফাতেমাও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি ‘হ্যাঁ’ সূচক মন্তব্য করেন তিনি। সকালে ম্যাডামের করোনা রেজাল্টের বিষয় নিয়ে আপনি দ্বিমত পোষণ কেনো করেছে জানতে চাইলে ডা. মামুন বলেন, একজন ডাক্তার হিসেবে আমরা প্রত্যেকটা রোগীর প্রাইভেসি রক্ষা করা আমার ঈমানী দায়িত্ব। মানে ডাক্তারের রুলসে তাই বলে। সকাল থেকে অনেকে ফোন করেছে। কিন্তু আমি পুরোপুরি জিনিসটাকে এভয়েড করার চেষ্টা করেছি। এখন যেহেতু পজেটিভ ফলাফল এসেছে তা মহাসচিব বলেছেন। ডাক্তার হিসেবে যেটা আমার করার সেটা আমি করেছি।
খালেদা জিয়ার সম্পর্কে ডা. মো. আল মামুন বলেন, এখন ম্যাডামের কোনো উপসর্গ নাই। ম্যাডামের যে মেডিকেল বোর্ড আছে, সেই বোর্ড নিয়মিত আলোচনা করে তার চিকিৎসা চালাচ্ছি। এখন পর্যন্ত তার অবস্থা স্টেবল আছে। আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছি। আমরা প্রাইভেট হসপিটালে একটা কেবিনটা সব কিছু ঠিক করে রেখেছি। বাসায় একটা হসপিটাল করা হয়েছে, এখানে সব কিছুর পিপারেশন আছে, সব এরেজমেন্ট আগের থেকে করে রাখা হয়েছে।
নিরাপত্তা কর্মীরা জানান, ম্যাডাম কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পৌনে ৫টায় ডাক্তার এসে ম্যাডামকে দেখে গেছেন। তারা জানান, ফিরোজার দোলায় খালেদা জিয়া কোয়ারেন্টাইনে আছেন। কারো প্রবেশাধিকার এখন আর নেই। আগে কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন আসতেন। আজকে কেউ আসেননি। তারা টেলিফোনে ম্যাডামের খোঁজ-খবর রাখছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।