পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ কলেজ শিক্ষা উন্নয়নে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা (১০ কোটি মার্কিন ডলার) ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে এ সংক্রান্ত্র একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ঢাকা অফিসের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর জাহিদ হোসেন।
বিশ্বব্যাংকের এ ঋণ ৬ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এ ঋণের উত্তোলিত অর্থের উপর বার্ষিক শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি দিতে হবে। তবে চলতি অর্থবছরসহ দীর্ঘদিন ধরে কমিটমেন্ট ফি শূন্য শতাংশে নির্ধারিত হয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাহিদ হোসেন বলেন, শিক্ষাখাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। মোট বরাদ্দের ১৯ শতাংশ ঋণ দেওয়া হচ্ছে শিক্ষা খাতে। আগে প্রাইমারি ও মাধ্যমিক শিক্ষা খাতে সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। এখন উচ্চ শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা ও সকল শিক্ষায় সহায়তা বাড়ানো হয়েছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী এই খাতে বিশেষ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ইআরডি সচিব অতিরিক্ত কাজী শফিকুল আযম বলেন, এ প্রকল্পটি ডিআইএল (ডিসবার্সমেন্ট ইনডিকেটর লিংক) মেনে অর্থছাড় করা হবে। ভবিষ্যতে উচ্চ শিক্ষায় খাতভিত্তিক কর্মসূচি হাতে নেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। বর্তমানে স্বাস্থ্য ও প্রাইমারি শিক্ষায় এ ধরনের কর্মসূচি চালু রয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কলেজ এডুকেশন সাব-সেক্টরের অধিকতর উন্নয়নের কৌশলগত পরিকল্পনা তৈরিকরণ এবং সাব-সেক্টরের ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ, অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স পরিচালনাকারী সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বে-সরকারি কলেজসমূহের টিচিং-লার্নিং পরিবেশ উন্নত করা, প্রকল্প বাস্তবায়নকালীন সংশ্লিষ্ট কলেজসমূহে প্রতিযোগিতামূলক অর্থায়ন নিশ্চিতকরণে কার্যকর মনিটরিং ও ইভাল্যুয়েশন ব্যবস্থা সৃষ্টি করা, কলেজের শূন্য পদে নিয়োগ প্রদান নিশ্চিতকরণসহ শিক্ষক নিয়োগ, দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা উন্নত করা হবে।
প্রকল্পটি সরকারি কলেজগুলোর ২ হাজার ৭০০ শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণ করতে সাহায্যে করবে। প্রকল্পটি শিক্ষকদের উন্নয়নে সাহায্যে করবে এবং জাতীয় প্রশিক্ষণ সংস্থা ও নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ সংস্থা স্থাপনের মাধ্যমে প্রায় ৮ হাজার কলেজ শিক্ষক ও পরিচালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং বিশ্বের সেরা শিক্ষক প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। ২০১৬ সালের জুলাই হতে ২০২১ সালের জুন মাসের মধ্যে এ প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ভিসি হারুন অর-রশিদ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকা-ের গতি আগের চেয়ে বেড়েছে। এই ঋণের মাধ্যমে তা আরো গতিশীল হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।