পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার ঃ স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়া ২ হাজার ৩৬৭ জন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধার তালিকা-সংবলিত গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। একই সঙ্গে তালিকা প্রকাশের দিন থেকে গেরিলা বাহিনীর এসব সদস্যকে সুযোগ-সুবিধা দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী ও জাহিদুল বারি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এস এম নাজমুল হক। আদেশের পরে সুব্রত চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, গেরিলা বাহিনীর তালিকা বাতিলের প্রজ্ঞাপনটি অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। ফলে ২০১৩ সালের ২২ জুলাই গেরিলা বাহিনীর যে তালিকা করা হয়েছিল, তা বহাল রইল। ওইদিন থেকে এসব মুক্তিযোদ্ধাকে যাবতীয় সুবিধা ও পাওনা নিশ্চিত করতে বলেছেন আদালত।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১৩ সালের ২২ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনে গেরিলা বাহিনীর ২ হাজার ৩৬৭ জন মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ করে। গেরিলা বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার ও ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকারের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য কমরেড মণি সিংহ ও অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নাম ছিল। তবে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ওই তালিকা-সংবলিত গেজেটটি বাতিল করা হয়। ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের বিশেষ গেরিলা বাহিনীর এই তালিকা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল দেন। চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট ৮ সেপ্টেম্বর গতকালের রায়ের তারিখ রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় আদালত রায় ঘোষণা করলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।