পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আরো জোরালো সম্পর্ক দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনে একথা বলেন। গত বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে তার বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে।
নিশা দেশাই বলেন, পূর্বমুখী নীতি অনুসরণ করে ভারত তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নত করছে এবং দীর্ঘদিনের বিরোধগুলো মিটিয়ে ফেলছে।
তিনি বলেন, ভারতের অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণভাবে স্থল ও সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। এগুলো অধিকতর বিনিয়োগ এবং পণ্য, সেবা ও মানুষের বাধাহীন, দ্রুত ও স্বল্প খরচে চলাচলের পথ উন্মুক্ত করবে।
মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক রূপান্তর বিনিয়োগের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে মার্কিন মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাথে বাণিজ্য করিডোর চালুর জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে মিয়ানমার কাজ করছে।
তিনি বলেন, জ্বালানি খাতে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ভারত থেকে বাংলাদেশে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রফতানি এ রকমই একটি দৃষ্টান্ত, যা এক হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত একটি প্রাথমিক জরিপে এই আন্ত:দেশীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের সম্ভাবনার বিষয়টি উঠে এসেছে।
নিশা দেশাই বলেন, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র জোরালো ভূমিকা পালন করবে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে এর মাধ্যমে সুষ্ঠু, ব্যাপকভিত্তিক ও টেকসই উন্নয়ন, আঞ্চলিক অগ্রগতি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক সফলতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভাষায়, একটি আন্ত:সংযুক্ত বিশ্বে আমাদের একসাথে উন্নতি হবে অথবা একসাথে পতন হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।