পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাকালে লকডাউনে এখন প্রায় নির্জন সমুদ্র সৈকতের পর্যটন স্পটগুলো। কক্সবাজারের সেই নির্জন হিমছড়ি সৈকতে গতকাল শুক্রবার সকালে ভেসে ভেসে এসে ঠেকে গেলো বিশাল এক মৃত তিমি। তিমিটি ওজনে প্রায় আড়াই মেট্রিক টন। মৃত তিমির দেহে দু’টি অংশ ছিল ক্ষত-বিক্ষত। মৃত তিমি ভেসে আসার খবর পেয়ে স্থানীয় অনেকেরই সেখানে ভিড় জমে ওঠে। বিশাল তিমি কীভাবে মারা পড়লো এ নিয়ে লোকজন হা-পিত্যেশ করেন। তিমিটিকে ঘিরে এলাকাবাসীর কৌত‚হলের শেষ নেই।
স্থানীয়রা জানান, তিমিরি দৈর্ঘ্য ২৫ ফুট এবং প্রস্থ ৮ থেকে ১০ ফুটের মতো হবে। তিমির লেজের উপরে পিটে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃত তিমির বাচ্ছা থেকে উদ্ভট দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দ্রæত গন্ধ ছড়ানো বন্ধ করে হাড়গুলো চকরিয়া ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে দর্শনার্থীদের জন্য সংরক্ষণ করার দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে দৈনিক ইনকিলাব বিশেষজ্ঞ-মত জানতে চায় চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্সেস ফ্যাকাল্টির ফিশারিজ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমুদ্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মো. হোসেন জামালের কাছে। তিনি বলেন, তিমিটি বেশ বড়সড়। এটি দূর ও গভীর সমুদ্রের কোথাও মারা যাওয়ার পর ভাসতে ভাসতেই এসেছে কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে। তিমি বৃহৎ সামুদ্রিক প্রাণী, তবে শান্তিপ্রিয় নিরীহ এবং সমুদ্র পরিবেশের বান্ধব।
এই বিজ্ঞানীর আশঙ্কা গভীর সমুদ্রে আগ্রাসী হাঙ্গর সদলবলে তিমিটিকে আক্রমণ করার কারণে হয়তো এটি মারা যেতে পারে। হাঙ্গরদল সাধারণত তিমির প্রতি আক্রমণাত্মক। তাছাড়া অন্য কোনভাবে আঘাতের শিকার হয়েও প্রাণ হারাতে পারে। তিমিটির পোস্ট মর্টেম করা জরুরি। তারপর সংশ্লিষ্ট সামুদ্রিক প্রাণিবিদগণই এই তিমির মৃত্যুর সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে সক্ষম হবেন আশাকরি।
প্রফেসর ড. হোসেন জামাল জানান, গভীরতর সমুদ্রে তিমির বসবাস। সচরাচর বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায়ও তিমি সদলবলে ঘুরতে-ফিরতে-বেড়াতে অর্থাৎ ট্র্যাভেলিং করতে আসে। আবার ফিরে যায়। তিমি দীর্ঘজীবি সামুদ্রিক প্রাণী। ওরা অন্যান্য ছোট সামুদ্রিক প্রাণিকুলের ক্ষতি করে না। বরং সব সামুদ্রিক প্রাণির জন্যই তিমি উপকারি। তিমি সমুদ্রজগতের সৌন্দর্য্য ও সম্পদ। এদের বাঁচিয়ে রাখা সামুদ্রিক পরিবেশ-প্রতিবেশের স্বার্থেই প্রয়োজন।
এদিকে জানা গেছে, মৃত বিশাল তিমিকে মাটিচাপা দেয়ার জন্য, কেউ কেউ এর দেহের মূল্যবান অংশগুলো কেটে সংগ্রহ ও বিক্রি করে দিতে স্থানীয় একটি মহল ব্যাপক তোড়জোড় চালাচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞগণ মৃত তিমিটির ময়না তদন্ত নিশ্চিত করার ওপর জোরালো তাগিদ দিচ্ছেন। যাতে তিমির মৃত্যুর সঠিক কারণ দ্রæত নির্ণয় সম্ভব হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।